• মানিকচকে দুই ভূমি আধিকারিকের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূমিদপ্তরের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল মানিকচকে। ব্লক প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করেছেন ব্লক তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের স্বামী মহম্মদ কাসেম আলি। মাটি কাটার বিনিময়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তাঁরা পঞ্চাশ হাজার টাকা কাটমানি চেয়েছিলেন বলে দাবি কাসেমের। অভিযুক্ত দুই আধিকারিককে শোকজ করেছেন বিডিও। তিনি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।


    বিডিও অনুপ চক্রবর্তী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি মানিকচকের বিএলআরওকে জানানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করে ইতিমধ্যেই দুই আধিকারিককে শোকজ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


    প্রশাসন সূত্রে খবর, মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা কাসেম আলি। তাঁর নিজস্ব ট্রাক্টর রয়েছে। তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি ঢালাই রাস্তার কাজে মাটি ফেলার বরাত পেয়েছেন। সেই রাস্তার কাজের জন্য মাটির কাটার রয়্যালটি কাটাতে গত ৫ ডিসেম্বর মানিকচক ভূমি দপ্তরে গিয়েছিলেন তিনি। ভূমিদপ্তরের বাইরে কাসেমের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর দুই আধিকারিক তাঁর কাছে মাটি কাটা বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। কেন এত টাকা চাওয়া হচ্ছে কাসেম জানতে চাইলে দু’পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করেন কাসেম। এরপরই তাঁকে কোনওদিন মাটি কাটতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন ওই আধিকারিকেরা। এই ঘটনার বিবরণ জানিয়ে মানিকচকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কাসেম। তিনি বলেন, মাটি কাটার জন্য সরকারিভাবে টাকা জমা দিতে গেলে ভূমি দপ্তরের দুই আধিকারিক ৫০ হাজার টাকা কাটমানি দাবি করেন। দিতে রাজি না হলে হুমকিও দেন। তাই ব্লক প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে দুই আধিকারিককে উপযুক্ত শাস্তি দিক।


    মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডলের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। অথচ  প্রশাসনের কিছু লোক অনৈতিক কাজ করে সরকারের নাম খারাপ করছেন। আমরা ব্লক প্রশাসন এবং ভূমি সংস্কার দপ্তরকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।


    অভিযোগের বিষয়ে দুই আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে একজনের মন্তব্য, ট্রেনে রয়েছি। এবিষয়ে আজ কথা বলতে পারব না। যা বলার আগামীকাল অফিসে এসে বলব। অন্য অভিযুক্ত অফিসারকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


    মানিকচকের বিএলআরও কৌশিক রায় বলেন, মানিকচকের বিডিও মারফত অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)