• চাঁচলের চন্দ্রপাড়ার কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলে নেই স্থায়ী শিক্ষক
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: ১০ বছর আগে চালু হওয়া সরকারি স্কুল বর্তমানে শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে। ফলে ছাত্রসংখ্যাও বছর বছর কমছে। স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নিচ্ছেন একজন অতিথি শিক্ষক ও দু’জন পার্শ্বশিক্ষক। স্থায়ী কোনও শিক্ষক নেই। মালদহের চাঁচল-২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলের এই অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। কম শিক্ষক দিয়ে পর্যাপ্তভাবে পঠনপাঠন হচ্ছে না বলে অভিযোগ। দ্রুত স্থায়ী শিক্ষকের নিয়োগের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।


    এলাকাটি মহানন্দা নদী তীরবর্তী। স্কুল লাগোয়া কানাইপুর ও দুর্গাপুর গ্রামে প্রায় হাজার পরিবারের বসবাস। এক দশক আগে গ্রামীণ এলাকার শিক্ষার প্রসারে জুনিয়র হাইস্কুল চালু হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে স্থায়ী শিক্ষকের নিয়োগ না হওয়ায় পড়াশুনোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্কুলের পরিচালন সমিতি জানিয়েছে, একজন স্থায়ী শিক্ষক ছিলেন। দু’বছর আগে তিনি অন্যত্র চলে যান। তারপর আর নিয়োগ হয়নি। স্কুলের ভবন ও শ্রেণিকক্ষের পরিকাঠামো ঠিক থাকলেও শিক্ষকের অভাব রয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৮১ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। নিয়মিত মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া হয়। এক শিক্ষক বলেন, সময়ের মধ্যে যতদূর পারি পড়ুয়াদের পাঠদান করি। স্থানীয় বাসিন্দা কলিমুদ্দিন বলেন, দোতলা স্কুল ভবন আগে পড়ুয়াদের ভিড়ে গমগম করত। এখন সেরকম শব্দ শোনা যায় না। শিক্ষকের অভাবে পাঠদান শিকেয় উঠেছে। ছাত্র সংখ্যা কমছে। এক অভিভাবক রুহুল আমিন বলেন, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হলে পঠনপাঠন ভালো হবে। মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন,রাজ্য সরকার গ্রামীণ এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছে। সেখানে যাতে শিক্ষক নিয়োগ হয়, বিষয়টি শিক্ষাদপ্তরে জানাব। কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি মহম্মদ জিন্নাহ আলি বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও স্থায়ী শিক্ষক পাইনি। সরকার যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করে সেই দাবি রাখছি। মালদহ জেলার খরবা ২ চক্রের এসআই আব্দুল হানিফ  বলেন, পঠনপাঠন স্বাভাবিকভাবেই চলছে। একজন অতিথি ও দু’জন পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন। একজন ডেপুটেশন শিক্ষক দ্রুত স্কুলে আসবেন। একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী রয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)