• পিকনিক স্পট হিসেবে পরিচিতি বাড়ছে মহানন্দার বিস্তৃত চরের, শৌচালয়ের দাবি
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: বড়দিন, ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি শুরু চাঁচলে। বিভিন্ন কার্নিভাল কমিটি ইতিমধ্যে পিকনিক স্পট সাজিয়ে তুলছে। ইংরেজি নয়া সালে বাঙালিও মাতবে পিকনিকে। চাঁচল মহকুমাবাসীর জন্য মহানন্দা নদীর প্রান্ত মাধবপুর ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। উত্তর দিনাজপুর ও মালদহের সীমানায় রয়েছে মাধবপুর সেতু। সেতুর নীচে মহানন্দা। নদীর দু’পাড়ে বিস্তৃত চর। খোলামেলা এই জায়গায় প্রতিবছর পিকনিক হয়। ত্রিপলের তাঁবু খাটিয়ে আবার প্যান্ডেল তৈরি করে পিকনিকে মেতে ওঠেন মানুষ। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নদীর খোলা পরিবেশের জন্য জায়গাটিকে বেছে নিচ্ছেন দুই জেলার মানুষ। গত পাঁচবছরে এলাকাটি পিকনিক স্পট হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়। বছরের শেষ দিন ও প্রথম দিনে বেশি ভিড় হয়। পরে প্রায় একমাস ধরে পিকনিক চলতেই থাকে সেখানে। পিকনিকের মরশুমে এলাকায় পুলিসও মোতায়েন থাকে। চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পিকনিক করতে দেওয়া হয়। রাতে নদীর চরে পিকনিক নিষিদ্ধ।পিকনিকের মরশুমের আগে পঞ্চায়েতের তরফে সেখানে অস্থায়ী শৌচালয় তৈরির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। গতবছর এই ব্যবস্থা ছিল না। স্থানীয় খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মলয় বসাক বলেন, পিকনিক স্থলে অস্থায়ীভাবে শৌচালয় বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে। পঞ্চায়েতে আলোচনা হচ্ছে। চাঁচলের নাসিমুল হক ও অঙ্কুর দাসরা বলেন, ওখানে পরিবেশ বেশ মনোরম। এলাকাটিও যথেষ্ট নিরাপদ। সেই জায়গায় সরকারিভাবে সৌন্দর্যায়নের ব্যবস্থা করা হলে আরও ভালো হয়। মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি আবু তৈয়ব মোহাম্মদ রফিকুল হোসেন বলেন, পিকনিক স্পটটিকে সাজানোর চেষ্টা করব। 
  • Link to this news (বর্তমান)