• ঘর ভাঙছে হাতি, কাঁঠাল গাছে উঠে দেখলেন গৃহস্বামী নিমাই
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ফালাকাটা: ঘন কুয়াশায় গ্রামে হাতির হানা। তাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ফালাকাটার বংশীধরপুর এবং খাউচাঁদ পাড়া সহ আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পারপাতলাখাওয়া গ্রাম। একের পর এক সব্জি খেতে চলে তাণ্ডব। সোমবার রাতে জলদাপাড়া বনাঞ্চলের একদল হাতি এই ধ্বংসলীলা চালায়। ঘরে হাতির হানা দেখে প্রাণ রক্ষায় গাছের ডালে উঠে তা অসহায় হয়ে দেখতে হল বাড়ির মালিককে।


    রাতে বংশীধরপুরে শাবক সহ ৬টির হাতির দল কয়েক বিঘা জমির আলু খেত সাবার করে। হাতির পায়ে ফসল পিষ্ট হয়। সেখানে মিশন শেষ করে হাতির দল পাড়ি দেয় পাশের পারপাতলাখাওয়া গ্রামে। সেখানে পাঁচটি বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন নিমাই সরকার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। নিমাইবাবুর টিনের ঘর। তাঁরা সোমবার রাতে ঘুমোনোর সময় হাতি বাড়ির চত্বরে আসে। টিনের বেড়া ভেঙে ধান, চাল ও ভুট্টার বস্তা বাইরে বের করে। ভয়ে নিমাই সরকার ঘরের পাশে থাকা একটি কাঁঠাল গাছের মগডালে উঠে পড়েন। রাত বিরেতে গাছের ডালে বসেই হাতির তাণ্ডব লীলা প্রত্যক্ষ করতে হয় তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে তিনি বলেন, হাতিগুলি বাড়ির পাশে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও বেগুন খেত তছনছ করেছে। তারপর প্রতিবেশী গোবিন্দ সরকারের বাড়িতে হানা দেয়। তাঁর রান্নাঘর ভেঙে ফেলে। পাশের আরএকটি ঘরের বেড়া ভেঙে চাল সাবাড় করে। তাঁর বাড়ির পাশে থাকা আনন্দ সরকার, দেবাশিস সরকার ও প্রসেনজিৎ বর্মনের বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। এলাকার বিষ্ণু অধিকারির কলা বাগান তছনছ করে। পরে স্থানীয়রা বাজি, পটকা ফাটালে প্রায় দেড় ঘণ্টা তাণ্ডব চালানোর পর হাতিগুলি এলাকা ছাড়ে। সেই সময় রাস্তার পাশে থাকা শ্রীদাম দাসের রান্নাঘরের বেড়া ভেঙে এক বস্তা ধান খেয়ে ফেলে। পরে বনকর্মীরা এসে হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরায়। 


    অপরদিকে, একইভাবে খাউচাঁদ পাড়া সানিরাম ভগতের রান্নাঘরে তাণ্ডব চালিয়ে হাঁড়ির গরম ভাত খেয়ে নেয় হাতি। 


    এই ব্যাপারে জলদাপাড়া সাউথের রেঞ্জার রাজীব চক্রবর্তী বলেন, খবর পেয়ে বনকর্মীরা এলাকায় যান। ওই এলাকা থেকে হাতিগুলিকে তাঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মমাফিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)