টেন্ডার দুর্নীতি বিতর্কে নতুন মোড় প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ইটাহার: বিডিও ও প্রধানের টানাপোড়েনে ইটাহার গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম কার্যত শিকেয়। এরই মাঝে পুকুরের টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে চারজনের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন বিডিও। পাশাপাশি ওই পঞ্চায়েত থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। উল্টোদিকে প্রধানের আশঙ্কা, তাঁর অভিযোগের তদন্ত না করে উল্টে তাঁর স্বামীকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
অভিযোগ, বিলকিস পারভিন ইটাহার পঞ্চায়েতের প্রধান হলেও তাঁর স্বামী সাহেরুল হক পিছন থেকে সব কাজ পরিচালনা করেন। প্রধানের চেয়ারের অপব্যবহার করে তিনি সরকারি পুকুর টেন্ডারের ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। বিডিও দিব্যেন্দু সরকারের কাছে প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জমা পড়ে গত শুক্রবার।
ইটাহার পঞ্চায়েতের শ্রীপুর, চালুনিয়া ও সাহাপুরের চার ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ জানান বিডিওর কাছে। তাঁদের একেকজনের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে কম অর্থের ডিসিআর দেন সাহেরুল। এক অভিযোগকারী চালুনিয়ার বাসিন্দা বিপ্লব বর্মন জানান, প্রধানের স্বামী পুকুরের টেন্ডারের ক্ষেত্রে বেশি টাকা নিয়ে কম অর্থের ডিসিআর দিয়েছেন। সেজন্য আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।
এই অভিযোগ পাওয়ার পর প্রধান বিলকিসকে দপ্তরে ডেকে সতর্ক করলেও এবার ব্লকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে চারজনের তদন্ত কমিটি গঠন করলেন বিডিও। সেই রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠাবেন তিনি। বিডিও বলেন, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পারিবারিক সমস্যা সহ চিকিৎসার প্রয়োজনে পরিবার সহ বাইরে আছেন প্রধান বিলকিস ও তাঁর স্বামী। প্রধানের দাবি, চলতি বছরের শুরুতে এই পুকুরগুলির টেন্ডার হয়েছে। তারপর কেটেছে প্রায় ১০ মাস। এর মাঝে পঞ্চায়েতে অডিট হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হলে অডিটে সামনে আসত। এখন প্রধানের অনুপস্থিতিতে পঞ্চায়েত থেকে কর্মীদের চাপ দিয়ে সমব্যথী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের নথি চেয়ে পাঠাচ্ছে ব্লক প্রশাসন।
বিলকিসের আশঙ্কা, পঞ্চায়েতের সরকারি নথি বিকৃত করা হতে পারে। তাঁর কথায়, গত শনিবার বিডিওর বিরুদ্ধে স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগের এখনও তদন্ত হয়নি। এবার চক্রান্ত করে দুর্নীতির জালে জড়িয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।