নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাক দিতে প্রস্তুতি তুঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের। সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দুই সেট করে স্কুল পোশাক দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে। জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই তন্তুজ থেকে প্রথম ধাপে জেলায় কাপড় এসে পৌঁছনোর কথা। ছাত্রছাত্রীদের পোশাক তৈরির জন্য সর্বমোট ২০ লক্ষ মিটার কাপড় আসছে।
বিগত বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, শিক্ষাবর্ষ শুরুর পর কয়েকমাস লেগে যায় পড়ুয়াদের হাতে স্কুল পোশাক পৌঁছতে। প্রথম সেটের পোশাক মেলে এপ্রিল মাসে। জুলাইয়ে তারা দ্বিতীয় সেট হাতে পায়। তাতে অভিভাবকদের ক্ষোভ থাকে। সেজন্য দিতেই যখন হবে, তখন আগেভাগে পড়ুয়াদের মুখে হাসি ফোটাতে প্রশাসনের তরফে এবার আগেই প্রস্তুতি বলে জানা গিয়েছে। প্রথম দফায় কাপড় এসে পৌঁছলেই জেলার প্রত্যেক ব্লকের কাটিং সেন্টারে কাপড় পৌঁছবে। সেখানে মাপ অনুযায়ী কাটিং শেষ হলেই সেগুলি চলে যাবে জেলার ৬৩টি স্টিচিং সেন্টারে। যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা দক্ষ হাতে পোশাকগুলি সেলাই করবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী শিক্ষাবর্ষের স্কুল পোশাক নিয়ে রাজ্যস্তর থেকে ইতিমধ্যে কয়েকপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। বিগত শিক্ষাবর্ষে প্রি-প্রাইমারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল পোশাক পাওয়ার পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল সাড়ে পাঁচ লক্ষের কিছুটা কম। এই হিসেব মাথায় রেখেই আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের পোশাক দেওয়ার প্রকল্প চলছে কয়েক বছর ধরে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা প্রকল্প অধিকর্তা হেমন্ত সেওয়া বলেন, প্রশাসনিক বৈঠকের পরই ঠিক হয়েছে বিগত বছরের তুলনায় আসন্ন শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়াদের যতটা সম্ভব আগে প্রথম সেটের পোশাক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হযেছে। আমাদের টার্গেট জানুয়ারিতে প্রথম ও ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় সেট পোশাক দেওয়ার।
সেজন্য আমরা বিভাগীয়ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। চলতি সপ্তাহেই তন্তুজ থেকে পোশাক তৈরির জন্য কাপড় আসার কথা। ছাত্রদের জামা, প্যান্ট, ছাত্রীদের চুড়িদার ইত্যাদি পোশাকের জন্য ধাপে ধাপে জেলায় আসবে ২০ লক্ষ মিটার কাপড়।