• প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদ ৫৬৩৫, রাজ্যে ৪১ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে গুরুত্ব বৃদ্ধি
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক পদ খালি ৫৬৩৫টি। মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এইকথা জানান। তিনি আরও জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যে মোট ৯৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এখানকার স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষকের সংখ্যা কত, তা পর্যালোচনা করার প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে, যেসব স্কুলে উদ্বৃত্ত শিক্ষক আছেন, তাঁদের পাঠানো হবে কাছাকাছি স্কুলে। শিক্ষক বদলি এখন বন্ধ রয়েছে। কিছু বদলি হচ্ছে একমাত্র আদালতের নির্দেশেই। শিক্ষকদের বদলির জন্য ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল ফের চালু করার হবে কি না, তার উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী একথা জানান। অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মেদিনীপুর কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত করারও প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্যে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪১। সেগুলির গুণগত মান উন্নত করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।


    প্রশ্নোত্তর পর্বে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, দমকল বিভাগে প্রায় ৩৮০০ পদ শূন্য। ১৭০০ শূন্যপদ পূরণের জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই নিয়োগগুলি হলে কাজে সুবিধা হবে। দমকলের জন্য আরও ৭৫টি গাড়ি কেনা হচ্ছে। সরু গলিতে আগুন নেভানোর জন্য নামানো হয়েছে ৩০০টি মোটরবাইক। এছাড়া ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকায় কেনা হচ্ছে চারটি রোবোট ফায়ার ফাইটার। আগুন নেভানোর জন্য আরও ড্রোনও কেনা হচ্ছে।


    পরিবেশমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় জানান, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৩৯টি ‘জৈব বৈচিত্র্য উদ্যান’ চালু হয়েছে। পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য হুগলি ও বর্ধমানসহ আরও কিছু স্থানে এই ধরনের উদ্যান গড়া হবে। এই উদ্যান তৈরির অন্যতম উদ্দেশ্য হল বিরল প্রজাতির প্রাণী এবং উদ্ভিদ সংরক্ষণ। সরকারের কর্মশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে এসব কাজে অনেক নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে। উপকূল এলাকায় পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের জন্য পরিবেশ দপ্তর ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, গ্রামের মানুষের বাড়িতে ‘দুয়ারে প্রাণী চিকিৎসার’ ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)