• সুন্দরবন ভ্রমণের ধাঁচে এবার বকখালি থেকে সারাদিন লঞ্চে ‘আইল্যান্ড হপিংয়ের’ সুযোগ
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শ্রীহীন হয়ে রয়েছে বকখালি সমুদ্র সৈকত। ক্রমশ আকর্ষণ হারাচ্ছে এই পর্যটন কেন্দ্র। মার খাচ্ছে হোটেল ব্যবসা। তাই এবার পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে উদ্যোগী হলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি পর্যটকরা এবার লঞ্চে করে বিভিন্ন দ্বীপেও ঘুরে আসতে পারবেন। এমনই পরিষেবা চালু করছেন তাঁরা। সুন্দরবনে বেড়াতে গেলে যেমন সারাদিন লঞ্চে করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে পারেন পর্যটকরা, তেমনই এখানে পর্যটকদের এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হবে। চলতি শীতেই এই নয়া পরিষেবা চালু করতে চলেছে হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন।


    তারা জানিয়েছে, সারাদিন লঞ্চে করে ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা। লোথিয়ান, শুশনিয়া দ্বীপ এবং ভগবতপুর কুমির প্রকল্প ঘোরানো হবে তাঁদের। মাথাপিছু খরচ হবে ধরা দেড় থেকে দু’হাজার টাকা। খাওয়া-দাওয়া লঞ্চেই। সূত্রের খবর, লোথিয়ান অথবা শুশনিয়া দ্বীপ চারদিকে জলে ঘেরা। শীতের সময় এখানে অনেক পরিযায়ী পাখি আসে। পর্যটকরা সেখানে নানা বিদেশি পাখির ছবি তোলার পাশাপাশি  নতুন পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারবেন।


    এই নয়া উদ্যোগ প্রসঙ্গে বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবরাজ জানা বলেন, এমনিতেই বকখালি সমুদ্র সৈকত তার জৌলুস হারিয়েছে। তাই পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সুন্দরবনের ধাঁচে সারাদিনের ভ্রমণ প্যাকেজ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, হোটেল থেকে টোটো করে পর্যটকদের হরিপুর ফেরিঘাট নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকেই লঞ্চে করে শুরু হবে এই ভ্রমণ। এর জন্য ফ্রেজারগঞ্জ ফিশিং হারবার মিনি লঞ্চ অপারেটর ইউনিয়নের সঙ্গে কথা হয়েছে হোটেল মালিকদের সংগঠনের। তাদের ১২টি লঞ্চকে এই বেড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হবে। 


    প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আসে, তারপর শ্রীহীন হয়ে পড়ে সমুদ্র সৈকত। প্রশাসন বা সরকার এই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রকে সাজানোর ব্যাপারে এখনও সেভাবে উদ্যোগ দেখায়নি। তাই পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে লঞ্চে ট্যুর প্যাকেজের ব্যবস্থা করছেন হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)