• নেশার আসরের প্রতিবাদ করায় মারধর, মহিলার হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: মদ, গাঁজার আসর বসেছিল। তার প্রতিবাদ করায় ওই আসরে থাকা লোকজন মেরে এক প্রতিবাদী মহিলার হাত ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে হরিপাল থানার অন্তর্গত জিগড়া গ্রামে। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে হরিপাল থানার পুলিস।


    হরিপাল থানার বাহিরখণ্ড পঞ্চায়েতের জিগরা গ্রামে প্রায় ২৫ বছর ধরে বসবাস করছে দাস পরিবার। তাঁদের বাড়ির পাশেই রয়েছে একটি পুকুর। ওই পুকুরের পাড়ে মাচা বেঁধে নেশার আসর বসিয়েছিল কয়েকজন স্থানীয় যুবক। তারা সেখানে বসে প্রায় প্রতিদিনই মদ, গাঁজা সেবন করে। শুধু তাই নয়, পথচলতি মহিলাদের কটুক্তিও করে। নেশারুদের উৎপাতে পুকুরপাড়ে যেতে ভয় পান স্থানীয় মহিলারা। যে জায়গায় বাঁশের মাচাটি তৈরি করা হয়েছে, সেই জমি আব্দুল শহিদের। তাঁর ছেলে আব্দুল শামিম নেশা করার জন্যই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ওই মাচা বেঁধেছে। আর পাঁচটা দিনের মতো সোমবার ওই মাচায় বসেই নেশা করছিল কয়েকজন যুবক। সেই সময় প্রতিবাদ করেন প্রতিবেশী কবিতা দাস ও তাঁর স্বামী ছোটন দাস। পাল্টা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। 


    কবিতাদেবী বেশ কিছুদিন ধরেই এই উপদ্রবের বিরোধিতা করছিলেন। তাঁকে সমঝে দিতে তাঁদের যাতায়াতের রাস্তার একাংশ দখল করেছিল শামিম ও তার লোকজন। শেষমেশ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা এসে মিটমাট করে দেন। সোমবার শামিম ও তার বাবা আব্দুল শহিদ দাস পরিবারের বাড়িমুখী রাস্তার কিছুটা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। এ নিয়েই গণ্ডগোল চলছিল দুই পরিবারের মধ্যে। কবিতাদেবী তাঁর দু’ বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে বাঁশ দিয়ে মেরে তাঁর হাত ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ।   


    হাসপাতালে চিকিৎসার পর সোমবার রাতেই আব্দুল শামিম, তার বাবা আব্দুল শহিদ সহ মোট চার জনের নামে হরিপাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত মহিলা ও তাঁর পরিবার। পুলিস এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুল শহিদকে ওই রাতেই গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে।


    কবিতাদেবী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মদ, গাঁজার আসর বসে এখানে। স্থানীয় পঞ্চায়েত, জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও সুরাহা হয়নি। উল্টে অভিযোগ জানানোয় অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। একই অভিযোগ তোলেন আরেক প্রতিবেশী শ্যামা মালিক। শহিদের পরিবারের সদস্য সাহারুন বিবি বলেন, আমার নাতি শামিম আগে নেশা করত। এখন সে আর নেশা করে না। মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)