• কাকভোরে পুকুর থেকে শোকেস, মুরগি তুলে আনলেন ভেঙে পড়া ৭ দোকানের ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কাকভোরে তখনও দিনের আলো ফোটেনি। পুকুরের জলের উপর চেপে রয়েছে কুয়াশার হালকা স্তর। সেই ঠান্ডায় পুকুরের জলে ছটফট করছে বেশ কিছু মুরগি। সেগুলিকে জল থেকে উদ্ধার করতে নেমে পড়েছেন কয়েকজন এলাকাবাসী। কয়েকজন আবার পুকুরের জল থেকে প্রাণপণে তোলার চেষ্টা করছেন শোকেস। যে কিছু নয়, তার মধ্যে রয়েছে সোনা আর রুপোর গয়না। মঙ্গলবার ভোরে এমন দৃশ্য দেখা গেল গোবরডাঙা পুরসভার কালীবাড়ি এলাকায় একটি পুকুরে। এদিন ওই পুকুরে ভেঙে পড়ে সাতটি অস্থায়ী দোকানঘর। এভাবে দোকান ভেঙে পড়ায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি দোকানদারদের। খবর পেয়ে এলাকায় আসেন গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত, ওসি পিঙ্কি ঘোষ সহ বিশাল পুলিস বাহিনী। এতে কিছুটা যানজট তৈরি হয় বসিরহাট-বনগাঁ সড়কে। পরে পুলিস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।


    গোবরডাঙা শহরের যশোর রোডে কালীবাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুরের পাশে বহু বছর আগে গজিয়ে ওঠে বেশ কিছু অস্থায়ী দোকান। পুকুরটির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে যমুনা নদীও। ইটের গাঁথনি আর টিনের চাল দেওয়া ওই দোকানগুলিতে ব্যবসা চালাতেন কয়েকজন। চায়ের দোকান থেকে মাংস, বিদ্যুতের সরঞ্জাম সহ সোনার দোকানও ছিল সেখানে। এদিন সকালে পুকুর পাড়ের মাটিতে ধস নামে। তাতে সাতটি দোকান ভেঙে পড়ে পুকুরে। সোনার দোকানে শোকেসে থাকা সোনা, রুপোর গয়না সহ দোকান ভেঙে পড়ে যায়।


    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তাঁরাই তড়িঘড়ি জিনিসপত্র উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। বিদ্যুৎকর্মীরা এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। সোনার ব্যবসায়ী জয়দেব সেন বলেন, গয়নার শোকেস জল থেকে উদ্ধার করেছি। আরেক ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন সরকার বলেন, দোকানের আয় থেকেই সংসার চলত। এবার কীভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছি না।


    এই প্রসঙ্গে গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত বলেন, পুকুরটির পাশে থাকা যমুনা নদীর ধারের মাটিতে ধসের কারণেই সাতটি দোকান ভেঙে পড়েছে। আমরা ওই ব্যবসায়ীদের পাশে থাকব।
  • Link to this news (বর্তমান)