মিনাখাঁয় বেহাল পানীয় জলপ্রকল্প, দ্রুত সংস্কারের দাবি গ্রামবাসীদের
বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে তৈরি হয়েছিল পরিস্রুত পানীয় জলের প্রকল্প। টেনেটুনে ছ’মাস তার সুবিধা পেয়েছেন গ্রামবাসীরা। তারপরই ভেঙে পড়েছে এই সরকারি প্রকল্প। ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁর ধুতুরদহ পঞ্চায়েতের দেউলি বাজার সংলগ্ন এলাকায়। প্রশাসনের দাবি, এটি দ্রুত মেরামত করা হবে।
২০২১ সালে মিনাখাঁর ধুতুরদহ পঞ্চায়েতের দেউলি বাজার লাগোয়া বৈদ্যআটি গ্রামে তৈরি হয় পরিস্রুত পানীয় জলপ্রকল্প। এটি ছিল সৌরশক্তি চালিত। মাটির নীচে থেকে জল উত্তোলনের পর তা আর্সেনিকমুক্ত করে মজুত রাখা হয় একটি ট্যাঙ্কে। এই প্রকল্প তৈরি করতে খরচ হয়েছিল মোট ১২ লক্ষ টাকা। বর্তমানে এই জলপ্রকল্প ধুঁকছে। কারণ মাত্র ছ’ মাসের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে সেই জলের ট্যাঙ্ক। তাছাড়া মেশিনপত্রের হালও খারাপ। ফলে স্থানীয় মানুষকে জল কিনেই খেতে হচ্ছে। অনেকে আবার দূর-দূরান্ত থেকেও জল নিয়ে আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রেনুবালা, হাজরা বাড়ুইরা বলেন, ২০২১ সালে যখন এই জলপ্রকল্প তৈরি হয়, তখন কিছুটা হলেও আশার আলো দেখেছিলাম। কিন্তু ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়তেই চুরমার হয়েছে সেই আশা। যন্ত্রগুলিও ব্যবহার না হওয়ায় হয় ভেঙে গিয়েছে, না হয় অকেজো হয়ে গিয়েছে। কবে তা মেরামত হবে কেউ জানে না। আমরা যে তিমিরে ছিলাম, সেখানেই পড়ে রয়েছি। প্রতিদিন জল কিনে খেতে হয় আমাদের। সেলিম হোসেন মোল্লা বলেন, ২০২১ সালে এটি চালু হওয়ার পর খুব বেশি হলে ছ’মাস চলেছে। তারপর থেকেই খারাপ। যাঁদের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, তাঁরাই ব্যবহার করতে পারেন না। এটি সারাই করা হলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।এ নিয়ে মিনাখাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাইফুদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় এই প্রকল্পটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা এটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি। দ্রুত মানুষ আগের মতো পরিষেবা পাবেন। এদিকে, এ নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধেছে বিজেপি। বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, আসলে অর্ধেকের বেশি টাকা তৃণমূল নেতারা কাটমানি খেয়েছে। তাই মানুষ বঞ্চিত। না হলে এই ক’দিনে জলপ্রকল্পের এই হাল হয় না।