শিক্ষকদের বক্তব্য, প্রতি বছরই বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের রাইটার পেতে কিছুটা সমস্যা হয়। কিন্তু এই বছর সমস্যাটা তীব্র। নিয়ম অনুযায়ী, এক জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রাইটার কোনও ভাবেই একাদশ শ্রেণির উপরের কোনও পড়ুয়ার হওয়ার কথা নয়।
দ্য খিদিরপুর অ্যাকাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ মহম্মদ সালেহিন বলেন, ‘‘আশপাশে বিভিন্ন স্কুলে খুঁজেও আমাদের স্কুলে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়ার রাইটার এখনও পাইনি। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা অনেকে খুশি মনে এত দিন রাইটারের কাজ করে দিত। কারণ রাইটার হওয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের এক বার পাঠ্যক্রম ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল। এ বার তা হবে না। কারণ একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রম নতুন। পরীক্ষা পদ্ধতিও পাল্টে সিমেস্টার পদ্ধতিতে হয়ে গিয়েছে।’’ সালেহিনের মতে, ‘‘আগামী বছর যে সময়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, সেই সময়েই একাদশের দ্বিতীয় সিমেস্টার হওয়ার কথা। সেই কারণেও অনেকে রাইটার হতে চাইছে না।’’
আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন বিশেষ ভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থী খিদিরপুরের কৌস্তভ চক্রবর্তী। কৌস্তভের বাবা শচীদুলাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তো আর বেশি দেরী নেই। ছেলের জন্য এখনও রাইটার পাইনি। রাইটার নিয়ে ছেলে মাধ্যমিকে ভাল ফল করেছিল। এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি আমরা।’’
নরেন্দ্রপুরের রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমির প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘অনেক অভিভাবকই এই সমস্যার কথা বলছেন। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রাইটার হিসেবে না পেলে বাধ্য হয়ে নবম বা দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের কথাই ভাবতে হবে। কিন্তু তাদের মান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর হবে কি না, সে নিয়ে সন্দেহ তো থেকেই যায়।’’
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা জানাচ্ছেন, সমস্যার কথাতাঁরা শুনেছেন। সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক বলেন,‘‘বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে আগামী বৃহস্পতিবার একটা বৈঠক আছে। আশা করি, একটা সমাধানের পথ বেরিয়েআসবে। তার পর এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’’