গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বাসিন্দা সিয়াম কয়েক বছর আগে থেকেই রাজারহাটের একটি ফ্ল্যাটে থাকত। সেই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিল সাংসদ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এবং মূল চক্রী আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিন। এই ফ্ল্যাটে অবশ্য সিয়াম ভারতীয় নাগরিক পরিচয়েই থাকত বলে পুলিশের দাবি। গত জুনে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে সিয়ামকে গ্রেফতারের পরে তদন্তকারীরা ভুয়ো পরিচয়পত্রের বিষয়টি জানতে পারেন।
তদন্তকারীরা জানান, একজন বাংলাদেশি কার সাহায্য নিয়ে কী ভাবে ওই পরিচয়পত্র বানাল তা জানা দরকার। এর পিছনে কোনও চক্র আছে কি না, তার খোঁজ প্রয়োজন। উল্লেখ্য, সাংসদ খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এ দেশে থাকার ব্যবস্থা করা, খুনের অস্ত্র জোগাড় এবং প্রমাণ লোপাটের জন্য মাংস কুচোনোর যন্ত্র কেনা, সবই সিয়াম করেছিল। খুনে জড়িত কসাই জিহাদ হাওলাদারকে মুম্বই থেকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে রেখেছিল সিয়াম।
গোয়েন্দাদের একাংশের বক্তব্য, ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরির চক্র রাজ্যে সক্রিয়। সম্প্রতি পার্ক স্ট্রিট থেকে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকেও ভুয়ো পরিচয়পত্র মিলেছে। এর আগে একাধিক বাংলাদেশি জঙ্গিকে গ্রেফতার করার সময়েও ভুয়ো পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। সিয়ামকে জেরা করে যেমন ওই চক্রের খোঁজ করা প্রয়োজন তেমনই ওই চক্রের সঙ্গে সিয়ামের যোগসূত্র আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এই সব কাজে সরকারি কর্মীদের কেউ যুক্ত আছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।