• আলাদা রাজ্যের দাবিতে কোচবিহারে আবার রেল অবরোধ! বাতিল অনেক ট্রেন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
    আনন্দবাজার | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • হুঁশিয়ারি দিয়ে আবার আন্দোলনে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। আলাদা রাজ্য হিসাবে কোচবিহারের স্বীকৃতির দাবিতে প্রায় ৮ বছর পর আবার ‘রেল রোকো’ আন্দোলনে নামল ওই সংগঠন। এর জেরে মঙ্গলবার রাত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে। বাতিল হয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি-গৌহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বঙ্গাইগাঁও নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস ইত্যাদি। ঘুরপথে যাত্রা করছে ডিব্রুগড়-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, আনন্দবিহার অরুণাচল এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি এক্সপ্রেস এবং কামাখ্যা রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেস। স্বাভাবিক ভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন প্রচুর যাত্রী।

    আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দাবি করে প্রথমে কোচবিহার জেলাশাসক দফতরে বিক্ষোভ দেখান জিসিপিএ এবং কেএসডিসি নামে দুই সংগঠনের কর্মীরা। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতা বংশীবদন বর্মণের ঘোষণা মতো ১১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘রেল রোকো আন্দোলন’ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই বংশীবদন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জমায়েত শুরু করেন অসম-বাংলা সীমানায় জোড়াই রেলস্টেশনে। বুধবার ভোরের আলো ফুটতেই ওই কর্মী-সমর্থকেরা রেলপথে বসে পড়েন। হাতে ফেস্টুন, পোস্টার নিয়ে স্লোগান তোলেন তাঁরা।

    বিক্ষোভের কারণে মঙ্গলবারও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রেল। বাংলা থেকে অসমগামী ট্রেনগুলির যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি গৌহাটি আপ এবং ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এখন ট্রেন অবরোধের জেরে স্টেশনে এসে অসুবিধায় পড়া যাত্রীদের বাসে করে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে নিউ কোচবিহার স্টেশন থেকে।

    আট বছর আগে, ২০১৬ সালে এ ভাবেই আলাদা রাজ্যের দাবি তুলে রেল অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। পৃথক রাজ্যের দাবিতে নিউ কোচবিহার স্টেশনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধ শুরু হয়েছিল। প্রায় আশি ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পরে অভিযান চালায় পুলিশ। আধ ঘণ্টার মধ্যে রেললাইন থেকে অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশি অভিযানের কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে আন্দোলনকারীদের নেতা বংশীবদনবাবু বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন। আট বছর পর ঠিক একই দাবি নিয়ে রেল অবরোধ শুরু হল জোড়াই রেলস্টেশন থেকে। জোড়াই স্টেশনকে অবরোধের কেন্দ্রস্থল হিসাবে বেছে নেওয়ার কারণ হল উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত করা।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)