মমতা বলেন, সমুদ্র সৈকত সরণিতে মন্দির তৈরি করব বলে ঠিক করি। প্রায় ২০ একর জমির উপর এই মন্দির তৈরি হচ্ছে। পুজোর ডালা ঘরও তৈরি হবে। মন্দির নির্মাণে এখনও পর্যন্ত ২৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই মন্দিরের প্রসাদে গুজিয়া, প্যারাও থাকবে। হবে রথযাত্রাও। নিমকাঠের মূর্তি হবে। ধ্বজা তোলারও ব্যবস্থা করা হবে। মূল ফটকের নাম হবে চৈতন্য ধাম। তৈরি করা হবে সোনার ঝাড়ু। মমতা জানান, আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ দেব ঝাড়ু তৈরির জন্য। আগামী কয়েক হাজার বছর ধরে এই মন্দিরের স্থায়িত্ব থাকবে। পুরী মন্দিরের সঙ্গে তুলনা করছি না। তবে পুরীর মন্দিরের মতই হবে উচ্চতা। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হবে উদ্বোধন। তবে অক্ষয় তৃতীয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই পুজো শুরু হয়ে যাবে।
মমতা আরও জানান, ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য থাকবেন ট্রাস্টি বোর্ডে। দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে থাকবে ভোগ খাওয়ার ও বিশ্রামের ব্যবস্থাও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীতে সারা ভারতের পর্যটক এবং ভক্তদের কাছে আলাদা করে নজর কাড়বে পুরীর আদলে তৈরি এই মন্দির। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দিঘায় পুরীর মন্দিরের আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপর কোভিড পর্ব মিটে যেতে ২০২২-এর মে মাসে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে হিডকো। ৩ বছরের মাথায় তৈরি সেই মন্দির। নির্মাণকাজ এখন শেষ পর্যায়ে।