ঢাকার ওই বিক্ষোভ সমাবেশে ওই বাংলাদেশি প্রাক্তন সেনা আধিকারিক বলেন, ৪ দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব। আমাদের শক্তির কাছে আমেরিকাও কিছু নয়। অন্যদিকে, বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভি বলেন, ভারতীয়দের আচরণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ বলে দাবি করবে বলেছে। তারুণ্যের শক্তি নিয়ে আমরাও তবে বলব, তোমরা যদি চট্টগ্রাম দাবি করতে পারো তাহলে আমরাও দাবি করব আমাদেরকে আমাদের নবাব সিরাজুদ্দৌলার বাংলা-বিহার-ওড়িশা ফেরত দাও। এই সব ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কিছু হবে না।
বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, চার দিনে কলকাতা দখল হয়ে যাবে। এমনিতেই খুবই ভয়ে আছি। ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছি। আমরা এতটা ভয়ে আছি যে সকালবেলা এসে ভয়ে ফোর্ট উইলিয়ামে দাঁড়িয়ে আছি। ওরা যদি এসে যায় যাতে সেনারা আমাদের বাঁচাতে পারে। যারা আসবেন তারা একটা করে পদ্মার ইলিশ নিয়ে এলে সুবিধে হয়।
বাংলাদেশের সমস্যায় রাজ্যের অবস্থানের কথা বলতে গিয়ে কুণাল বলেন, বাংলাদেশ ইস্যু কেন্দ্রের দেখার বিষয়। রাজ্য সরকারের নয়। রাজ্য জানিয়েছে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নিন। তাতে সমর্থন রয়েছে রাজ্যের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ন মিরপেক্ষতার প্রতীক। সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজেদের মত করে এই বাংলায় থাকতে পারেন। বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে। মমতা নন।
ইন্ডিয়া জোটের মুখ নিয়ে কুণাল গোষ বলেন, মমতা তো নিজে বলেননি জোট এর মুখ হবেন। তার দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং জনপ্রিয়তা দেখেই বিভিন্ন দল থেকে বলা হচ্ছে তাকে সামনে রেখেই এগোতে। জ্যোতি বসুকে মুখ হিসেবে চাওয়া হয়েছিল একটা সময়ে।