মৃত্যুঞ্জয় দাস: বাঁকুড়ার ভোলা হীরাপুর নেতাজি সুভাষ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়-ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল সবজিবাগান। যে বাগান থেকে প্রতিদিন টাটকা সবজি তুলে তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মিড ডে মিলের রান্না ঘরে, সেখানে তা রান্না করে প্রতিদিন খাওয়ানোও হচ্ছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের।
মিড ডে মিলে প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে ডিম আর সয়াবিন-আলুর তরকারি খায় স্কলের কঁচিকাঁচারা। সবজি প্রায়ই থাকে না তাই স্কুলের শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির উদ্যাগে স্কুল-ক্যাম্পাসের ভিতরেই গড়ে তোলা হয়েছে এক বিশাল আকার সবজির বাগান। যেখানে উৎপাদিত হচ্ছে কুমড়ে, লাউ, বরবটি, বিনস, কপি, মুলো, বেগুন-সহ নানা সবজি।
সারা বছরই এই বাগানে উৎপাদিত হয় নানান শাক ও সবজি। যা রক্ষণা-বেক্ষণ করার দায়দায়িত্ব স্কুলের শিক্ষকদের। বাগান পরিচর্যা করার জন্য দুজনকে রাখা হলেও স্কুলের ক্লাস শেষে শিক্ষকরাই যে যাঁর নিজের মতো কখনো হাতে কোদাল বা কাঁধে স্প্রে মেশিন নিয়ে নেমে পড়েন সবজির জমিতে।
তবে এই ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয় না কোনও কীটনাশক। জৈব সার দিয়েই উৎপন্ন করা হয় এই বাগানের ফসল। ফলে এই ফসলে নেই কোনও 'বিষ'। এ থেকে হবে না শারীরিক কোনও ক্ষতিও। ফলে, শুধু পেটই ভরবে না, পুষ্টির উজ্জ্বলতাও ছুঁয়ে যাবে পড়ুয়াদের। টাটকা ও তাজা সবজি ছাত্রছাত্রীদের মুখে তুলে দিতে পেরে আহ্লাদিত হন শিক্ষকেরা। ওদিকে প্রতিদিন ভাতের পাতে কিছু না কিছু টাটকা সবজির স্বাদ পেয়ে খুশি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও।