• অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন, ঘোষণা মমতার
    এই সময় | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। বুধবার নির্মীয়মাণ সেই মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ এপ্রিল এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনের পর এ বার থেকে দিঘাতেও শুরু হবে রথযাত্রা। প্রায় ২০ একর জমির উপর একেবারে পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে দিঘার এই জগন্নাথ মন্দির। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, পুরীর সঙ্গে দিঘার মন্দিরের তুলনা করব না। কারণ বহু পুরোনো সেই মন্দির। রাজ রাজাদের আমলে তৈরি। দিঘায় মন্দির হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে।

    মমতা জানান, জগন্নাথের পাথরের মূর্তি যেমন থাকবে, একই সঙ্গে থাকবে নিম কাঠের মূর্তিও। তিন মাসের মধ্যে মন্দিরের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এর পর অক্ষয় তৃতীয়ায় মন্দিরের উদ্বোধন। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইসকন কলকাতা) রাধারমণ দাস, সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি, স্থানীয় পুরোহিত অনেকেই থাকবেন সেই বোর্ডে।

    দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরিতে ইতিমধ্যেই আড়াইশো কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও কিছু খরচ বাকি আছে। ভোগের ঘর, স্টোর রুম, গেস্ট রুম, বিশ্রাম ঘর, সবই আলাদা থাকছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে। পুজোর ডালার জন্য ঘর হবে।

    পুরী মানেই যেমন খাজা, দিঘাতেও তেমনই বাংলার বিশিষ্টতা যে সমস্ত মিষ্টিতে, সেই গুজিয়া, ক্ষীরের গজা, প্যারা পাওয়া যাবে। পুজো দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে। দিঘার মন্দিরে থাকবে দেবী বিমলার মন্দির, রাধাকৃষ্ণের মন্দিরও। তৈরি হচ্ছে ‘চৈতন্য দ্বার জগন্নাথ ধাম’। জগন্নাথ ধামে ঢোকার সামনেই তৈরি হবে এই দ্বার। পুরীতে যেমন রোজ বিকালে মন্দিরের ধ্বজা তোলা হয়। এখানেও সেই রীতি পালন করা হবে।

    মমতা জানান, পুরীর মন্দিরের রাজেশ দৈতাপতির সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। ধ্বজা তোলার ক্ষেত্রে একটা ঐতিহ্য রয়েছে। বংশ পরম্পরায় এই রীতি পালিত হয়। তাই পুরী থেকে যদি কেউ আসেন, রাজেশ দৈতাপতির সঙ্গে সে কথাও হয়েছে বলে জানান তিনি।

    মমতা বলেন, ‘এ বার প্রথম রথযাত্রা হবে। রথযাত্রায় একটা সোনার ঝাড়ু থাকে। উপরটা চন্দন কাঠের, নিচের দিকে সোনার ডাস্ট মেশানো থাকে। আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেবো। ওটা ইসকন তৈরি করবে।’
  • Link to this news (এই সময়)