• বল্লভপুর ও রাসমণি ঘাটে শেষ ফেরির সময় বাড়ল
    এই সময় | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়, শ্রীরামপুর: জলপথে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ আনতে বল্লভপুর ফেরী ঘাট থেকে ব্যারাকপুরের রাসমণি ঘাটের ভেসেল চলাচলের সময় বাড়ানো হল। রাজ্যের ভূতল পরিবহন নিগমের নির্দেশে বল্লভপুর ঘাট থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ও ব্যারাকপুর রাসমণি ঘাটে রাত ১০.১৫ পর্যন্ত শেষ পরিষেবা পাওয়া যাবে। এতদিন বল্লভপুর ফেরী ঘাটে রাত ৭ টা পর্যন্ত ভেসেল পারাপার করত।

    নতুন করে রাতের দিকে তিন ঘন্টা বাড়তি পরিষেবার সময় বাড়িয়ে দেওয়ায় যাত্রীদের শ্রীরামপুর থেকে ব্যারাকপুর বা কলকাতায় আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে সময় ও অর্থ দুই বাচবে।বল্লভপুর -রাসমণি ফেরি ঘাট সূত্রে জানা গিয়েছে শ্রীরামপুর থেকে সেক্টর ফাইভ, বিধাননগর, দমদম, শিয়ালদহ মেন, শিয়ালদহ দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর এবং কল্যানী, রানাঘাট, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর এই সকল স্থানে যারা কর্ম সূত্রে যাতায়াত করেন তাদের জন্য জলপথে সময়সীমা বেড়ে যাওয়া নিসন্দেহে সুবিধাজনক হবে।

    শ্রীরামপুর বল্লভপুর ফেরি ঘাট থেকে প্রথম ভেসেল সকাল ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত প্রতি আধ ঘন্টা অন্তর লঞ্চ চলবে।বল্লভপুর ফেরি ঘাটের দায়িত্বে থাকা রাজর্ষি ঘোষ বলেন,যাত্রীদের সুবিধার্থে পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে ফেরি ঘাটের সময় রাতে ৭ টার বদলে ১০ টা করা হয়েছে। এর ফলে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে।

    রাধাবল্লভ ও রাসমনি ঘাট অর্থাৎ হুগলি ও উত্তর চব্বিশ পরগনার দুই ফেরী ঘাটের খোল নলচে বদলে ক্রংক্রীটের জেটি ও ভাসমান জেটির জন্য রাজ্যের ভূতল পরিবহন নিগম প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যায় করেছে। ২০১৯ সালে ভদ্রেশ্বর তেলেনিপাড়ায় গঙ্গার জোয়ারে কাঠের জেটি ভেসে গিয়ে একাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হয়ে জেলার সমস্ত অস্থায়ী ও কাঠের জেটি কে স্থায়ী পাকাপোক্ত করার কথা ঘোষণা করেন। তখন থেকেই জেলায় সমস্ত ফেরি ঘাট গুলিতে ভাসমান জেটি ও কংক্রীটের ফ্রুট ব্রীজ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়।

    ২০১৯ সালে বল্লভপুর ফেরী ঘাটের বাঁশের ফুট ব্রীজ ভেঙে স্থায়ী জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়।২০২২ সালে ফের বল্লভপুর ফেরী ঘাটের কাজ শুরু হয়।২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন রুপে বল্লভপুর রাসমণি ঘাটে ফেরী সার্ভিস চালু হয়।শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বামফ্রন্টের সময় নৌকা চলত, ঘাটের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ।

    লোডশেডিংয়ের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর পরিবেশ বান্ধব জলযানে শ্রীরামপুর থেকে বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপদে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শ্রীরামপুর বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, যাত্রী স্বাচ্ছন্দে জলপথে বিপ্লব এনেছে রাজ্য সরকার।

    আধুনিক পরিষেবার জন্য বড় ভেসেল চালানো হচ্ছে ভুটভুটি নৌকার পরিবর্তে।এতে দুর্ঘটনা ও দূষণের ঝুঁকি অনেক কম।এখন সময়সীমা বাড়ানোয় অনেক সুবিধা হবে। শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান গিরিধারী শাহ বলেন, বল্লভপুর রাসমণি ঘাটের একটা ঐতিহ্য আছে। বহু মানুষ এই পথে কর্মস্থলে পৌঁছান।সেই বিষয় কে গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
  • Link to this news (এই সময়)