বন্ধ ১০০ দিনের কাজ, জঙ্গলে ভরেছে দুর্গাপুর-ফরিদপুরের একাধিক শ্মশান
বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের শ্মশানঘাটগুলির অবস্থা বেহাল। ঝোপ-জঙ্গলে ভরে উঠেছে শ্মশান চত্বর। নেই আলোর ব্যবস্থা। শ্মশান যাত্রীদের ভোগান্তির মধ্যেই শবদাহ করতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের দাবি, প্রশাসন সমস্যার দ্রুত সমাধান করলে বহু মানুষ উপকৃত হবে। ব্লক প্রশাসন সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্লকে লাউদোহা, ইচ্ছাপুর ও প্রতাপপুর সহ ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। ওই পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে প্রায় ৪০টি শ্মশান আছে। শ্মশানঘাটগুলি জনবসতি এলাকা ছেড়ে ফাঁকা মাঠে, নদী ও জলাশয়ের পাশে গড়ে উঠেছে বহু বছর আগেই। প্রথম থেকেই শ্মশানঘাটগুলি ঝোপ-জঙ্গলে ভরা ছিল। জল পরিষেবা ও বাতির ব্যবস্থা ছিল না অধিকাংশ শ্মশানে। ঝড়-বৃষ্টিতে শ্মশান যাত্রীদের আশ্রয় নেওয়ার ছাউনিও ছিল না। এমনকী শবদাহ করার কোনও পাকা ছাউনি ছিল না। দাহ করার সময় বৃষ্টি হলে চিতার আগুন নিভে যেত। শ্মশানে যাওয়ার রাস্তাও বেহাল ছিল। তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে শ্মশানঘাটগুলির পরিকাঠামো কংক্রিটের করা হয়। জল ও আলোর ব্যবস্থা সহ বসার ছাউনি করা হয়। অধিকাংশ শ্মশানঘাট সৌন্দর্যায়নের জন্য বাহারি গাছপালা লাগানো হয়। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে প্রায় প্রতি মাসে শ্মশানের ঝোপঝাড় পরিষ্কারের কাজ হতো। স্বাভাবিকভাবেই শ্মশানযাত্রীদের সমস্যা দূর হয়েছিল। কেবল দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক নয় রাজ্যের প্রতিটি ব্লকেই অধিকাংশ শ্মশানঘাট একই রকমভাবে সংস্কার করা হয়েছিল। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হওয়ায় বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে শ্মশানঘাটগুলি।
প্রতাপপুরের বাসিন্দা সনাতন লাহা ও লিলটু ঘোষ বলেন, শ্মশানের রাস্তাও বেহাল। আমরা শবদাহ করার সময় নিজেরা লাইটের ব্যবস্থা করি। ঝোপ-জঙ্গল পেরিয়ে কোনওরকমে শবদাহ করা হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিতে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।আমলৌকা গ্রামের বাসিন্দা বামাপদ বাউরি বলেন, আগে পরিষ্কার করা হতো পঞ্চায়েত থেকে। এখন আমরা নিজের অর্থ ব্যয় করে পরিষ্কার করি। সমস্যা তো হচ্ছে। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ১০০ দিনের কাজে ওই শ্মশানগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো। এখন রাজ্য থেকে যেমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেইভাবে কাজ হবে। বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।-নিজস্ব চিত্র