• স্কুলের শিশুদের পাঠালেন চকোলেট, দীঘায় মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা
    বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শনে এসে খুশিতে খুদে পড়ুয়াদের চকোলেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো সেই চকোলেট পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত শিশু ও পড়ুয়ারা। মন্দিরের পিছনের দিকেই রয়েছে ভগীব্রহ্মপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। বুধবার সেই স্কুলের পড়ুয়াদের চকোলেট পাঠান তিনি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথধাম পরিদর্শনে আসবেন, কয়েকদিন আগে থেকেই দীঘা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে খবর ছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মন্দির পরিদর্শনের সময় তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য মন্দিরের সীমানা পাঁচিলের চারদিকে ভগীব্রহ্মপুর তো বটেই, খাদালগোবরা, চাঁপাবনি সহ আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ ভিড় জমান। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তাঁদের উন্মাদনার অন্ত ছিল না। তাঁরা হাত নেড়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। আগামী বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন জগন্নাথধাম উদ্বোধন হবে, মুখ্যমন্ত্রী একথা ঘোষণা করার পর থেকেই উন্মাদনায় ফুটতে শুরু করেছেন দীঘার মানুষজন। এদিন মন্দির দর্শনে বেড়াতে আসা পর্যটকদেরও ভিড় ছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মূল মন্দির সহ আশপাশের জায়গা পরিদর্শন করছিলেন। সেই  সময় ভগীব্রহ্মপুর বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ছাদের উপর উঠে তাঁর উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানায়। মুখ্যমন্ত্রী শিশুদের দেখে খুশি হন। প্রত্যুত্তরে স্মিত হেসে হাত নাড়েন এবং আদরের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। কর্তব্যরত পুলিস আধিকারিকদের তাদের জন্য চকোলেট পাঠাতে নির্দেশ দেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দীঘা থানার পুলিস আধিকারিকরা দ্রুত ওই গ্রামে পৌঁছে যান। স্কুলে ১৩০জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। পড়ুয়াদের প্রত্যেকের হাতে চকোলেট তুলে দেয় পুলিস। শুভ্রনীল জানা, সায়নী প্রধান, রূপসা সাহুরা বলে, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের চকোলেট পাঠিয়েছেন, এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা। প্রধান শিক্ষক দিলীপ দলাই বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। তবে বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই। আমরা পুলিস আধিকারিকদের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এব্যাপারে আর্জি জানিয়েছি। 

    উল্লেখ্য, রামনগর-১ ব্লকের পদিমা-১ পঞ্চায়েতের ভগীব্রহ্মপুর মৌজায় ২০একর জায়গার উপর জগন্নাথধাম গড়ে উঠছে। মন্দিরের জায়গায় আগে ধু-ধু বালিয়াড়ি ছিল। পরবর্তীকালে জগন্নাথ মন্দির হওয়ার কথা ঘোষণা এবং কাজ শুরু হওয়ার পর অখ্যাত গ্রামটি যেন বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এলাকার মানচিত্র বদলাতে শুরু করেছে। গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকে হোটেলে কাজ করেন। অনেকে সমুদ্রসৈকতে ঝিনুকের সামগ্রী বা শো-পিস বিক্রির দোকান করেন। সেই গ্রামই পূণ্যভূমি হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁ‌ই ঩পেতে চলেছে। আগামী দিনে গোটা এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি আমূল বদলে যাবে, সেব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)