নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: দুর্গাপুর কল্পতরু মেলার পরিচালনার দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে শাসক দলের দু’পক্ষের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার খুঁটি পুজোর পরে রাতেই মেলার অস্থায়ী বুকিং অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শাসক দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর গ্যামন ব্রিজে ডিপিএলের মাঠে কল্পতরু উৎসবের আয়োজন হয়। বহু পুরনো এই মেলা একটা সময়ে দুর্গাপুরের অন্যতম বিনোদন ছিল। সারা বছর এলাকার মানুষ এই মেলার জন্য অপেক্ষা করত। ক্রমেই মেলার প্রসার হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরু হবে। এবার সেই মেলার প্রস্তুতি শুরু হতেই অশান্তি বেধেছে। মেলা পরিচালনার দায়িত্ব কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়ে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। শাসক দলের একটি অংশ মেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এমনকী, বেনিয়মেরও অভিযোগ তুলেছে। যদিও বর্তমান মেলা পরিচালন কমিটির কর্তারা দুর্গাপুর পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তারপর মঙ্গলবার ঘটা করে কল্পতরু মেলার খুঁটি পুজো হয়। সেদিন রাতেই বুকিং অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল, যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
মেলা কমিটির কো-অডিনেটর দীপঙ্কর লাহা বলেন, আমাদের কমিটির মাথার উপর রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও প্রদীপ মজুমদার। সভাপতি পদে আছেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। আগে যাঁরা মেলা পরিচালনা করতেন তাঁরা যে লাভ দেখাত, তার থেকে তিনগুণ আয় আমাদের বর্তমান মেলা কমিটি করে দেখিয়েছে। তাঁদের একটি অংশ অশান্তি করার চেষ্টা করছে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এরসঙ্গে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
অন্যদিকে স্থানীয় একাধিক ক্লাব সদস্য বীরেন্দ্র যাদব, মোহন মাহাত, পরিতোষ রাজবংশীরা বলেন, স্থানীয় ক্লাব ও নেতাদের বাদ রেখে কেন মেলা করা হচ্ছে? মেলায় বেনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা সরব হয়েছিলাম। তারজন্যই আমাদের ফাঁসাতে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।