নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: পাণ্ডবেশ্বরে ১১ দিন পরেও নাবালিকা যমজ বোনের নিখোঁজ রহস্যের কিনারা হল না। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরেই ওই এলাকা থেকে তাদের পিটি টিচারের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরও রহস্য ঘনীভূত হয়। পুলিস কুকুর এনেও তদন্ত করা হয়। পাশাপাশি পাশ্ববর্তী বিভিন্ন থানা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করেছে পুলিস। কিন্তু কোনও রাস্তাতেই দেখা মেলেনি নিখোঁজ ১০ বছরের যমজ নাবালিকার। এতদিন ধরে পরিবারের দুই সন্তানের খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে পরিবারের। বুধবার আসানসোল পুলিস কমিশনারের অফিসে পরিবারের ও প্রতিবেশীরা জমা হন। তাঁরা তদন্তের গতি বাড়ানোর আর্জি জানান। তাঁদের অভিযোগ, ২০২৩ সালেও পাণ্ডবেশ্বর থেকে একইভাবে এক ১০ বছরের নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। আজ পর্যন্ত তার হদিশ মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, তাহলে কি পাণ্ডবেশ্বরে সক্রিয় হয়েছে নাবালিকা পাচার চক্র? এসিপি পিন্টু সাহা বলেন, নাবালিকাদের খোঁজার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর পাণ্ডবেশ্বর থানার কুমারডিহি গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী দুই যমজ বোন। ছোট অবস্থাতেই তাদের মা ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি অন্যত্র সংসার করছেন। দুই মেয়ে মামার বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করে। বাবা শ্বশুরবাড়িতে এসে মেয়েদের দেখভাল করত। দুই পরিবারের মধ্যে প্রবল মতবিরোধী রয়েছে। ঘটনার দিন দুই বোনকে কুমারডিহি মাঠে খেলতে দেখেছেন অনেকে। তারপর থেকেই তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাতেই বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়। রহস্যজনকভাবে পরের দিন সকালে ওই মাঠের পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে তাদের পিটি টিচার উজ্জ্বল বাউরির রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মেয়েগুলি খেলতে এলে সেখানে তিনি পিটি করাতেন। এই ঘটনার জেরে পাণ্ডবেশ্বরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।