• প্রতীক্ষার অবসান, অবশেষে শিলিগুড়িতে মাটির নীচে বিদ্যুতের তার পাতার কাজ শুরু
    বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। টেন্ডার ডেকে ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়ার প্রায় একবছর পর মাটির নীচে বিদ্যুতের তার পাতার প্রকল্পের সূচনা শিলিগুড়িতে। বুধবার শহরের ইস্টার্ন বাইপাসে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের সূচনা করেন মেয়র গৌতম দেব। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ১৮ মাস সময় লাগবে। বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে তা ১৫ মাসের মধ্যে শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি শহরে মাটির নীচ দিয়ে রান্নার গ্যাসের লাইন পাতার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দু’টি প্রকল্প রূপায়িত হওয়ার পর শিলিগুড়ি আধুনিক শহরের রূপ নেবে। 

    বিদ্যুতের ওভারহেড লাইন মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ বহুদিনের। প্রশাসন সূত্রের খবর, বেশ কয়েক বছর আগেই ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি গ্রিড মডার্নাইজেশন প্রজেক্ট হাতে নেয় বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি। এর অধীনেই বিদ্যুতের ওভারহেড লাইন ও নেটওয়ার্ক ভূগর্ভস্থ কেবলে রূপান্তরিত করার প্রকল্প রয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগে শিলিগুড়িতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প দু’টি পর্যায়ে রূপায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সময়ই টেন্ডার ডেকে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজর বরাত ঠিকাদার সংস্থাকে দেওয়া হয়। এজন্য রাস্তা খোঁড়ার অনুমোদন পূর্তদপ্তর দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। কয়েকদিন আগে দপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় সেই জটিলতার সমাধান হয়েছে। তাই এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজের সূচনা করা হয়েছে। 

    এদিনের অনুষ্ঠানে মেয়র ছাড়াও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য কমল আগরওয়াল, বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির শিলিগুড়ির ডিভিশনাল ম্যানেজার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে দীর্ঘ ২২০ কিমি এলাকার বিদ্যুতের লাইন মাটির নীচ দিয়ে পাতা হবে। যা ৫-৮, ১০-১৪, ৪০-৪৪, ১৭, ১৮, ২০, ২৩, ২৮ এই ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে যাবে। এতে ব্যয় হবে ২৪৮ কোটি টাকা। এদিন ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ওই কাজের সূচনা হয়েছে। এরপর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে হবে। 

    বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আধিকারিকরা জানান, দু’টি পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে মোট ৫৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রথম পর্যায়েই ব্যয় হচ্ছে ২৪৮ কোটি টাকা। যারমধ্যে বিশ্বব্যাঙ্ক ৭০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকার ৩০ শতাংশ অর্থ প্রদান করছে। এই প্রকল্পের জন্য পূর্তদপ্তরকে চার কোটি এবং পুরসভাকে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। পরবর্তীতে সেই অর্থ দিয়ে তারা রাস্তা মেরামত করবে। প্রসঙ্গত, বহুদিন আগেই কোচবিহার শহরের একাংশে মাটির নীচে বিদ্যুতের তার পাতা হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)