সংবাদদাতা, ইসলামপুর: দিনের পর দিন ইসলামপুরের দোলঞ্চা নদী থেকে দেদার বালি-মাটি পাচার চলছে। মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে জেরবার একাংশ বাসিন্দার দাবি, অবৈধ কারবার রুখতে পুলিস এবং ভূমি দপ্তর উদ্যোগ নিচ্ছে না। ইসলামপুর ব্লকের উল্লেখযোগ্য নদীগুলির মধ্যে অন্যতম দোলঞ্চা। বর্ষার সময় বিধ্বংসী হয়ে যাওয়ায় পাড় ভাঙার সমস্যা দীর্ঘদিনের। অনেক চাষের জমি, চা বাগান নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। এখন জল কমে যাওয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাফিয়ারা। একাধিক জায়গা থেকে নদীর পাড় কেটে বালি-মাটি তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একের পর এক ট্রাক্টর বোঝাই করে চলে পাচারের কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দা নাগরমোহন সিংহের কথায়, আমাদের গ্রামের ভিতরের রাস্তা দিয়ে ট্রাক্টরে করে অনেক দিন ধরে বালি, মাটি পাচার চলছে। রাস্তায় বাচ্চারা খেলাধুলো করে। তাদের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। রাস্তাও বেহাল হয়ে পড়েছে। আমরা বাধা দেওয়ার পর কিছু ট্রাক্টর অন্য রাস্তা ধরে যাতায়াত করছে। পণ্ডিতপোঁতা ও মাটিকুন্ডা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগস্থলে দোলঞ্চা নদী। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, নদী সংলগ্ন মন্দির যাওয়ার রাস্তা বেহাল হয়ে গিয়েছে পাচারকারীদের অত্যাচারে। বাসিন্দারা একবার বাধা দেওয়ায় চা বাগানের ভিতরের রাস্তা ও চাষের জমি দিয়ে ট্রাক্টরে করে বালি-মাটি পাচার চলছে। ইসলামপুরের বিএলআরও ভুপেন্দর সুব্বা বলেন, এই বিষয়টা আমার জানা ছিল না। দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার ডেন্ডুপ শেরপার মন্তব্য, মাঝেমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অপরিকল্পিতভাবে নদীবক্ষ থেকে বালি তোলার ফলে এলাকায় ভাঙন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এখনই এই অবৈধ কারবার বন্ধ না করলে নদীর গতিপথ বদলে ভয়ঙ্কর বিপদের সম্ভাবনা।