সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: বাম আমলে তৈরি হিমঘর চালু হয়নি এতবছরেও। ফলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে চাষিদের মধ্যে। ২০১০ সালে মেখলিগঞ্জ ব্লকের রানিরহাট মুখ্য বাজার চত্বরে একটি বহুমুখী হিমঘর তৈরি হয়। উৎপাদিত পণ্য মজুত রাখার জন্য বাম জমানায় ওই হিমঘরের নির্মাণ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। রাজ্যে পালাবদল হলেও নির্মাণ থমকে থাকেনি। একসময় হিমঘর তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু তা আর চালু হয়নি। রানিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান উৎপল রাউত বলেন, হিমঘরটি চালু না হওয়ায় চাষিরা বেজায় ক্ষুব্ধ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এক কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই হিমঘর তৈরি করা হয়েছে। আলু বাদে সমস্ত রকম ফসল সেখানে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয় চাষি অমল বর্মন, মহাদেব রায়, রঞ্জিত রায় বলেন, কি কারণে হিমঘরটি চালু হচ্ছে না, বুঝতে পারছি না। এতে চাষি ও ব্যবসায়ী, সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এদিকে, হিমঘরটিতে লাগানো বিশাল বাতানুকূল যন্ত্রগুলি দেখভালের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে। বিরাট ক্ষতির মুখে যন্ত্রাংশগুলিও। তৈরির পরে হিমঘরটি চালু না হওয়ায় সেটি যেন ভুতুড়ে ভবনে পরিণত হয়েছে। এলাকাটি আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী এই প্রসঙ্গে বলেন, হিমঘরটি তৈরি হলেও বিদ্যুৎসংযোগ মেলেনি। প্রকল্পটি চালু না করে ফেলে রাখায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। হিমঘরটি চালুর জন্য বহুবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মেখলিগঞ্জের বিডিও অরিন্দম মণ্ডল বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।
এলাকার সিপিইএম নেতা বিপিন শীলের বক্তব্য, প্রকল্পটি বাম আমলের বলেই বর্তমান সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। সেটি চালু না করে ফেলে রাখা হয়েছে। বিজেপি নেতা দধিরাম রায়ের অভিযোগ, বাম ও তৃণমূল উভয়পক্ষই হিমঘর চালু করতে ব্যর্থ হয়েছে। শীঘ্রই এই নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তৃণমূলের মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি কেশবচন্দ্র বর্মনের অভিযোগ, বাম আমলে অপরিকল্পিতভাবে এই হিমঘর তৈরি হয়েছে। তাই সেটি চালু করা যাচ্ছে না।