বস্তা ভরা ধানবোঝাই ভুটভুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে পড়ায় শিশু সহ ছয়জন গুরতর জখম হয়। বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে চাঁচল থানার মালতিপুর-জালালপুর রাজ্য সড়কের মিরজাতপুরে। প্রায় ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় জখমদের উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। এরপরেই পথ নিরাপত্তার দাবি নিয়ে ধানের বস্তা ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
একঘণ্টা পর পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা। জখমরা হলেন নগরদ্বীপ দাস ও তাঁর স্ত্রী মিলি দাস। তাঁদের শিশুকন্যা আশা দাসও জখম হয়েছে। বাড়ির গৃহকর্তা পঞ্চানন দাস সহ বিপ্লশী দাস ও হরেন দাস জখম হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সবাই চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বরাতজোরে রক্ষা পান বাড়ির প্রৌঢ়া আরতি দাস।
তিনি বলেন, আমি ঘরে শুয়েছিলাম। বাড়ির সবাই এভাবে জখম হবে ভাবতে পারিনি। প্রত্যক্ষদর্শী শোভা দাস বলেন, রাস্তা ধরে জল নিয়ে আসছিলাম। মালতিপুরের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা ভুটভুটিটি রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে। চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখি সকলেই চাপা পড়ে আছে। চালক পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত নুনিয়ার দাবি, জাতীয় সড়ক সংযোগকারী এই রাজ্য সড়কে ঘনবসতি এলাকাগুলিতে ট্রাফিকের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। যদিও পুলিসের দাবি, ওই রুটের বিভিন্ন এলাকায় স্পিড ব্রেকার ও ব্যারিয়ার দেওয়া হয়েছে। ভুটভুটির স্টিয়ারিংয়ে কোনও সমস্যা হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, ধানের বস্তা সহ ভুটভুটিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চালকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।