পিবিইউ’র দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ক্লাসরুম নির্মাণ ঘিরে বিতর্ক
বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের খলিসামারির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের মাঠে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রায় সাড়ে ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দু’টি ক্লাসরুম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু যে জায়গায় ক্লাসরুম তৈরি করা হচ্ছে সেই জমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে আন্দোলনকারী পঞ্চানন বর্মা ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের দাবি ক্লাসরুম তৈরি করার জায়গাটি তাদের। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের যে জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে, সেই জমি এখনও শনাক্তকরণ করা হয়নি। ফলে জমি শনাক্ত না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত অর্থে ক্লাসরুম নির্মাণ ঘিরে আবারও জোর জল্পনা ছড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে দু’টি ক্লাসরুম তৈরি হচ্ছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের টাকায়। আমাদের যে ১২.৮০ একর জমি দেওয়া হয়েছে, সেই জমিটি এখনও শনাক্তকরণ করা হয়নি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আন্দোলনকারী পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের কর্ণধার গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, যেখানে ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে সেই জমিটি স্থানীয়রা ট্রাস্টকে দান করেছেন। আমরা তার পাশেই একটি বড় বিল্ডিং করছি নিজস্ব উদ্যোগে। পরবর্তীতে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে দান করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি এখনও চূড়ান্তভাবে শনাক্তকরণ হয়নি। জমি শনাক্তকরণের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বিষয়।
কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে একটি ভবন নির্মাণের পর উদ্বোধনকে ঘিরে উপাচার্য ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছিল। সেই ভবনটি এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে না। এবার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে ক্লাসরুম তৈরি না করে ট্রাস্টের জমিতে ক্লাসরুম নির্মাণ ঘিরে আবারও বির্তক তৈরি হয়েছে।
শিক্ষামহলের দাবি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ের অভাবেই কি দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে এভাবে ক্লাসরুম তৈরি করা হল। তাহলে মূল ক্যাম্পাসের মতো দ্বিতীয় ক্যাম্পাসেও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের তৈরি করা ক্লাসরুম ব্যবহার না করেই পড়ে থাকবে। এনিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি নিখিলবাবু ও গিরীন্দ্রনাথবাবু।