• জমির চরিত্র পরিবর্তন, ভূমিদপ্তরের দ্বারস্থ আদিবাসী পরিবার
    বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: আদিবাসী পরিবারের জমি জেনেরেল ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন করে নকশালবাড়ির কুমারসিংজোতে গড়ে উঠছে আবাসন প্রকল্প। যা নজরে আসতেই বুধবার ভূমিদপ্তরে অভিযোগ জানানো হয় সংশ্লিষ্ট পরিবারের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, নকশালবাড়ির কুমারসিংজোতে শতাধিক বিঘা জমিজুড়ে চলছে আবাসন প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যেই ওই প্রকল্পস্থলের ভিতরে কংক্রিটের রাস্তা, সীমানা প্রাচীর সহ সৌন্দার্যায়নের কাজ চলছে। কমলা মৌজার ২৩৬ নম্বর প্লটে প্রায় তিন একর জমি ছিল সোহন খেড়িয়ার। পরে আর্থিক সমস্যা জেরে ৪ ডিসেম্বর ওই প্লটের ২.৪২ একর জমি বাগডোগরার বাসিন্দা মাহাবীর ওরাঁওকে বিক্রি করে খেড়িয়া পরিবার। ওই দিনে জমির রেজিস্ট্রি হয়। তবে সোহনবাবু মঙ্গলবার ভূমিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নামজারির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখেন ওই প্লটে একাধিক জেনেরাল ক্যাটাগরির মানুষের নামজারি হয়েছে। এতেই বুঝতে পারেন যে আদিবাসী জমি নিয়ে কেলেঙ্কারি হচ্ছে। এরপর এদিন তিনি এনিয়ে নকশালবাড়ি ভূমিদপ্তর ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। সোহন খেড়িয়া বলেন, জমিটি আমাদের পূর্বপুরুষের। আমাদের সম্প্রদায়ের জমি আমাদের সম্প্রদায়ের কাউকে বিক্রি করা যায়। তবে তা না হয়ে ওই প্লটে জেনারেল ক্যাটাগরির লোকের নামজারি করা হয়েছে। এখন দেখছি ওই জমিতে আবাসন প্রকল্পের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা রেণু খেড়িয়া বলেন, জমি মাফিয়াদের মদতে আদিবাসীদের জমিতে আবাসন প্রকল্পের কাজ চলছে। আদিবাসী জমিতে একের পর এক প্লটিং হচ্ছে। অথচ বিষয়টি জানার পরেও ভূমিদপ্তরের মদতে জমির মালিকানা পরিবর্তন হচ্ছে। যা মানা যায় না। এজন্য আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন নকশালবাড়ি বিএলআরও দেবরাজ বাগ। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগের আধিকারিক বীর বিক্রম রাই বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে এই ধরনের নামজারি করতে হলে কিছু নিয়ম রয়েছে। তা মানা হয়েছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করব।  
  • Link to this news (বর্তমান)