• উপাচার্য প্রার্থীর নামে রাজভবন ও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ, নিয়োগ ঘিরে তীব্র জলঘোলা
    বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ চলছে। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো নাম সই করা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রোজই তুলছেন। আচার্যের এই দীর্ঘসূত্রিতার বুধবারও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। এর মধ্যেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদপ্রার্থীকে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজভবন এবং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই কারণেই তাঁর নাম চূড়ান্ত হতে দেরি হয়। যদিও, শেষপর্যন্ত  সেই প্রার্থীর নামে সিলমোহর দিয়েছে রাজভবন। 

    বর্তমানে জেলবন্দি এক শিক্ষাকর্তার প্রিয়পাত্র ছিলেন এই প্রার্থী। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অধীনে গুরুত্বপূর্ণ পদে অস্থায়ীভাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তবে, প্রথাবহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিন পদে থাকার ফলে সরকার ঘনিষ্ঠ এক উপাচার্য গিয়েই তাঁকে অপসারণ করেন। যদিও, অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ পান তিনি। এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগের অন্যতম হল, তাঁর বিভাগে ইন্টারভিউ বোর্ডের বাতিল করা দু’জনকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ করা। অভিযোগকারীদের একাংশের দাবি ছিল, উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে দক্ষিণবঙ্গের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক ‘আরও ভালো’ প্রার্থী। তবে, তাঁকে বেছে নেওয়া হয়নি। তবে, এই দাবি ধোপে টেকেনি।

    এদিন বিধানসভায় ভবানীপুর গুজরাতি এডুকেশন সোসাইটির প্রস্তাবিত ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিলটি পাশ হয়েছে। এদিনও প্রচুর সংশোধনীর প্রস্তাব এনেছিলেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক শঙ্কর ঘোষ। তবে, সেগুলি তিনি না শুনেই পারিবারিক কারণ দেখিয়ে অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান। তবে, পরে তাঁকে বিধানসভা ভবনের বাইরে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে দেখা যায়। অধিবেশন শেষে শিক্ষামন্ত্রী আচার্যের সমালোচনায় বলেন, উপাচার্য নিয়োগে উনি শিশুসুলভ দীর্ঘসূত্রিতা করছেন। তাঁর এই কাজকর্ম ধ্বংসাত্মক। আমরা ফুল দিচ্ছি আর উনি তরবারি দেখাচ্ছেন! মাঝখান দিয়ে কলকাতা বা যাদবপুরের মতো রাজ্যের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষতি হচ্ছে। র‌্যাঙ্কিংয়েও তার প্রভাব পড়ছে। কোনও নাম পছন্দ না-হলে উনি সুপ্রিম কোর্টে পাঠান। শুধু শুধু চার-পাঁচটি নাম ছেড়ে দেরি করার কোনও অর্থ নেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)