• সিন্ডিকেট গড়েই চলত গাঁজা পাচার, সিআইডির হাতে ধৃত মাদক কারবারি
    বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জেল থেকে বেরনোর পর মাদকের কারবার শুরু করেছিল সে। চলত গাঁজা পাচার। সেই টাকায় স্ত্রীর নামে কিনেছিল গাড়ি। বেড়াতে যাওয়ার নাম করে ওই গাড়িতে করেই মাদক পাচার করত সে। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার সাঁকরাইলে সিআইডির হাতে ধরা পড়ে গেল মাদক কারবারের কিং পিন বিনোদ চৌহান। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯৭ কেজিরও বেশি গাঁজা। যার বাজারমূল্য ১৫ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটি।

    তদন্তে নেমে সিআইডি জেনেছে, বিনোদ বহুদিন ধরেই গাঁজা পাচারের কারবার করে। ওড়িশার ভদ্রক থেকে মাদক নিয়ে এসে কলকাতা, হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলায় সে সরবরাহ করে। ওই মাদক পাঠানোর জন্য একাধিক এজেন্ট নিয়োগ করেছিল সে। পুরোটাই সিন্ডিকেট। কয়েকশো ছেলে তার হয়ে কাজ করে। প্রত্যেকেই মাস মাইনে পায়। ওড়িশার গাঁজা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিনোদের যোগ রয়েছে। মাদক পাচারের পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০১৭ সালে বলাগড়ে সে এক ব্যক্তিকে খুন করেছিল। মাদক পাচার নিয়ে গোলমালের জেরেই ওই খুনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার পর বিনোদ পালিয়ে যায়। এরপর ধরা পড়ে জেল খাটে। খুনের মামলায় জামিন পাওয়ার পর সে আবার গাঁজা পাচার শুরু করে। পাচার করতে গিয়েই সাঁকরাইল থানার হাতে গ্রেপ্তার হয় বিনোদ। তারপর থেকে সে জেলবন্দি ছিল। শেষমেশ ২০২৩ সালে জামিন মেলে। 

    তবে ঢেঁকি যে স্বর্গে গিয়েও ধান ভানে, সেই প্রবাদ পুরোপুরি খেটেছে বিনোদের জীবনে। সে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের পুরোদমে মাদকের কারবার শুরু করে দেয়। এবার ওড়িশার ভদ্রক থেকে গাঁজা আনার জন্য গাড়ি কেনে সে। গাড়িতে সব সময় একটি ট্রলি ব্যাগ থাকত। যাতে কেউ দেখলে ভাবতে পারে, কোথায় বেড়াতে যাচ্ছে। 

    ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মাদক কারবারের টাকার বড় অংশই সে তিন বান্ধবীর পিছনে খরচ করত। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত পার্টি করত সে। পরত দামি ব্র্যান্ডের জামাকাপড়। গাঁজা পাচারের ওই সিন্ডিকেটে কতজন রয়েছে, ধৃতকে জেরা করে সেসম্পর্কে  যাবতীয় তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)