রবীন্দ্র সরণি লাগোয়া রমেশ দত্ত স্ট্রিট দখলমুক্ত করতে অভিযান পুরসভার
বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাস্তার একাংশ দখল করে তৈরি হয়েছে একের পর এক ঝুপড়ি। একদিকে চলছে সংসার, পাশেই ফুটপাতে ও রাস্তায় পড়ে রয়েছে লোহার বিভিন্ন সরঞ্জাম। ওই পথ দিয়ে পথচারীদের হেঁটে যাওয়াই দায়। গোটা এলাকাই নোংরা, আবর্জনায় ভরপুর। সারাক্ষণ দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। এই হাল গিরিশ পার্ক এলাকার রবীন্দ্রকানন পার্ক লাগোয়া লোহাপট্টির রাস্তার। প্রায় ৫০ ফুট রাস্তার অর্ধেক দখল হয়ে গিয়েছে। বুধবার, সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালাল কলকাতা পুরসভা। রীতিমতো পে-লোডার নিয়ে রাস্তার উপর থাকা কংক্রিটের নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। পাশাপাশি, রাস্তার দু’দিক মিলিয়ে তিন-চারটি ঝুপড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিরোধ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে, সেভাবে কোনও বাধা আসেনি।
হেদুয়া থেকে মিনার্ভা থিয়েটার ছাড়িয়ে কিছুটা এগলেই বাঁদিকে ঢুকে গিয়েছে একটি গলিপথ। সেই পথ ধরে একটু এগলেই ডানদিকে বহু পুরনো রবীন্দ্রকানন পার্ক। সেই পার্ক লাগোয়া রমেশ দত্ত স্ট্রিট ধরে আবার রবীন্দ্র সরণিতে ওঠা যায়। এই রমেশ দত্ত স্ট্রিটের একদিকে তৈরি হয়েছে লোহাপট্টি। রয়েছে একের পর এক লোহার সরঞ্জাম ও ছাট লোহার দোকান, গুদাম। অন্যদিকে, রমেশ দত্ত স্ট্রিট ও রবীন্দ্র সরণির সংযোগস্থলের দিকে এগলে দেখা যাবে, রাস্তার ডানদিক পুরোপুরি দখলদারদের হাতে। টিন, প্লাস্টিকের ছাউনি, কেউ কেউ আবার রাস্তার উপরেই ইটের গাঁথনি দিয়ে তৈরি করেছে ঘর। নোংরা-আবর্জনায় ভরে থাকে গোটা এলাকা। এসবের জেরে রাস্তার একদিক পুরোপুরি বন্ধ। গাড়ি চলাচল করতে পারে না। গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে এভাবেই রাস্তা দখল করে তৈরি হয়েছে বসতি। সেখানেই এদিন বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি ভাঙা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা সকলেই বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। বাকি জায়গা দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। স্থানীয় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তারকনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রশাসন আইন অনুসারে পদক্ষেপ করেছে। এখানে আমার কিছু করার নেই। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় এদিন পুরোটা ভাঙা হয়নি। কয়েকটি ঝুপড়ি ও একটি কংক্রিটের ঘর ভাঙা হয়েছে। ওরা বলে দিয়েছে, দখলদারদের উঠে যেতে হবে। পরে এসে পুরোটা ভাঙবে।’
রাস্তা দখল করে এখানে একটি ক্লাব তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরসভা সূত্রে খবর, সেই ক্লাবও ভাঙার নোটিস জারি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফুটপাত ও রাস্তায় মালপত্র রাখা বন্ধ হোক। রাস্তা দখল করে সংসার চলছে, সন্ধ্যা নামলেই সেখানে নেশার আসর বসছে। এবার সেখানে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।