কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ, প্রথমে হোটেলে ডেকে বেহুঁশ করে ধর্ষণ করেন প্রেমিকাকে। পরে মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দিয়ে খুনের চেষ্টাও করেন বলে অভিযোগ করেছেন তরুণী। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই বেপাত্তা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁর খোঁজ চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক। বাড়ি বেলঘরিয়া এলাকায় হলেও তিনি চাকরিসূত্রে বহরমপুর শহরে থাকেন। জানা গিয়েছে, ৮ অক্টোবর বহরমপুরে নামী হোটেলে ডেকে পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে কলকাতার এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তার পর আবার চলতি মাসের ২ তারিখ হোটেলে ডেকে মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দেয় বলেও পুলিশকে জানানো হয়েছে। তরুণী তাতে রাজি না হওয়ায় খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা যে অভিযোগ পেয়েছি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগকারিণী তাঁর অভিযোগে যে হোটেলের কথা উল্লেখ করেছেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আমরা খোঁজখবর শুরু করেছি। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ৬৪, ১২৩, ১১৫ (২), ১০৯ (১), ৩০৩(২) ও ৩৫১ (২) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজে উনি ডিউটিতে আসছেন না বলেই জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করছি।”
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ উঠতেই শহরবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। কেউ কেউ বলেন, আর জি কর কাণ্ডে প্রথম পথে নেমে প্রতিবাদ জানায় চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্ন ঘটিয়ে দিন রাত এক করে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে একজন চিকিৎসকের নামে এমন অভিযোগ সত্যিই উদ্বেগের। পুলিস উপযুক্ত তদন্ত করে, অভিযোগ খতিয়ে দেখুক বলে দাবি উঠেছে।