আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অবাধ উত্তুরে হাওয়ার দাপটে রবিবার পর্যন্ত জমিয়ে শীতের আমেজ অনুভূত হবে বঙ্গে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে। এর জেরে শনিবার শীতের আমেজ বাড়বে। কোথাও কোথাও জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার পর থেকে কয়েক দিন গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার আর তেমন হেরফের হবে না বলে জানিয়েছে আলিপুর।
উত্তরবঙ্গেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। উত্তরবঙ্গের চার জেলায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ১৯৯ মিটার থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। সে জন্য সকালের দিকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে কুয়াশার হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি, সকালের দিকে দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহেও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপাতত রাজ্যের সর্বত্র শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে কুয়াশার চাদরে ঢাকবে মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর। দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের মধ্যে থাকতে পারে। কলকাতা-সহ বাকি জেলাগুলিতেও সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বুধবারের তুলনায় প্রায় ৩ ডিগ্রি কম। এ পর্যন্ত এটিই এ মরশুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বুধবার কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। বৃহস্পতির ভোরে দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য এলাকায় তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমেছে। পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.১ ডিগ্রি। এ ছাড়া, দমদমে ১৩ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ১০ ডিগ্রি, কল্যাণীতে ১০.৬ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ৯.২ ডিগ্রি, বর্ধমানে ১০ ডিগ্রি, উলুবেড়িয়ায় ১২.৫ ডিগ্রি এবং বাঁকুড়ায় ১১.৬ ডিগ্রি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।