স্থানীয় সূত্রে খবর, রোজকার মতো বৃহস্পতিবারও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না করা খিচুড়ি বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। পরে এক অভিভাবকই খিচুড়িতে মরা টিকটিকি দেখতে পান। বাচ্চাকে থালায় খিচুড়ি বেড়ে দেওয়ার সময়েই টিকটিকি দেখতে পান তিনি। এর পর বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষক্রিয়ার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভও দেখান অভিভাবকেরা। বিক্ষোভকারী অভিভাবক কেশরী সাইনি বলেন, ‘‘অত্যন্ত অবহেলায় রান্না করা হয় এখানে। এর আগে এক বার খাবারে আরশোলা বেরিয়েছিল। এক বার খাবারে নুনের বদলে সাবানের গুঁড়ো দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ বার এই ঘটনা।’’
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী নমিতা কর বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর নিয়মিত সাফাই করা হয়। অত্যন্ত সচেতন ভাবেই রান্না করা হয়। হতে পারে, চালা থেকে টিকটিকি পড়েছিল খিচুড়িতে।’’
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন খাতড়া-১ পঞ্চায়েতের প্রধান বুলা সেন ও খাতড়ার বিডিও। বুলা বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি নিয়ে সকলেই বাড়ি চলে গিয়েছিল। কিন্তু অনেকেই তখনও এই খিচুড়ি খায়নি। তার আগেই টিকটিকির বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।’’