ইতিমধ্যেই বিজ্ঞান সচিব ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ-সহ অন্যদের লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, জঞ্জাল যদি ওই ক্যাম্পাস থেকে বাইরের কোনও ভ্যাটে ফেলা হয়, তা হলে সেখান থেকে পুরসভা নিয়ে যাবে। বিজ্ঞান সচিব জানিয়েছেন, নিকটতম ভ্যাটের একটি রাজাবাজার ট্রাম ডিপোর কাছে। অন্যটি আমহার্স্ট স্ট্রিটে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি মাসে এতগুলো টাকা দিতে হলে তা খুবই সমস্যার। শতাব্দীপ্রাচীন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ হিসাবে চিহ্নিত। কলকাতা পুরসভাই তা চিহ্নিত করেছে।’’
ওই ক্যাম্পাসের জঞ্জাল জড়ো করা হয় ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের কাছে। সেখান থেকে পুরসভা সেগুলি নিয়ে যেত। ওই বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক দাসশর্মা বুধবার জানালেন, জঞ্জাল জমে জমে রাস্তায় হাঁটাচলা করাই এখন মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা পর্যন্ত নেমে এসেছে জঞ্জাল।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার অবশ্য এ দিন বলেছেন, ‘‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজাবাজার ক্যাম্পাসের ভিতরে পুরসভার পরিষেবা বন্ধ হবে না। ওখানে পরিষেবা দ্রুত চালু করতে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি।’’ দেবব্রতের দাবি, বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না। কর নেওয়া ও তা মকুব করার বিষয়েও আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানালেন।