এ বার তাই সাইবার প্রতারণার হাত থেকে কলকাতা পুলিশের ‘প্রণাম’-এর সদস্য প্রবীণদেরসুরক্ষিত রাখার জন্য তাঁদের এ বিষয়ে সচেতন করতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে লালবাজার। এর জন্য খোলা হয়েছে একটি ওয়টস্যাপ চ্যানেল। এ ছাড়া, ‘প্রণাম’-এর সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও এ বিষয়ে সচেতনতার পাঠ দেবেন বিভিন্ন থানার অফিসারেরা। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানার অফিসারদের সঙ্গে ‘প্রণাম’-এর সদস্যদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। বৈঠকে থানার অফিসারদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারাও।
পুলিশ সূত্রের খবর, বর্তমানে কলকাতা পুলিশের ‘প্রণাম’-এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ২০০৯ সালে তৎকালীন নগরপাল এই প্রকল্প চালু করেছিলেন। মূলত অবিবাহিত বা একাকী প্রবীণ নাগরিকদের সাহায্য করার জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশ এলাকার যে সমস্ত বাসিন্দা ‘প্রণাম’-এর সদস্য, তাঁদের সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখার কথা পুলিশকর্মীদের। এ ক্ষেত্রে অবশ্য গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে একাধিক বার। প্রতিটি থানায় এক জন করে নোডাল অফিসার রয়েছেন ‘প্রণাম’-এর সদস্যদের খোঁজখবর রাখার জন্য।
লালবাজার জানিয়েছে, সাইবার-প্রতারণার ঘটনা বর্তমানে বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাইবার জালিয়াতদেরহাত থেকে ‘প্রণাম’-এর সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতেই তাঁদের সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইবার জালিয়াতেরা কী ধরনের কৌশলে জালিয়াতি চালায়, কী ভাবেকৌশল বদলে ফেলে, সে ব্যাপারে সম্যক ধারণা তৈরি করে দিতে প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে কথাবলবে পুলিশ। তাঁরা যাতে ফোনে পাঠানো অচেনা কোনও লিঙ্কে ক্লিক না করেন বা ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে না দেন, সেই ব্যাপারেও তাঁদের সতর্ক করা হবে।
এক পুলিশকর্তা জানান, বিভিন্ন থানার অফিসারেরা ‘প্রণাম’-এর সদস্যদের বাড়ি গিয়ে সচেতন করার কাজ শুরু করবেন চলতি মাস থেকেই। প্রতারণার ফাঁদ এড়াতে কী ভাবে সতর্ক থাকতে হবে, সেই পাঠও দেওয়া হবে ওই প্রবীণদের।