হোটেলে ডেকে প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি। কাঠগড়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক সিনিয়র রেসিডেন্ট (আবাসিক) চিকিৎসক। তাঁর খোজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। নির্যাতিতা যুবতীয় সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
নির্যাতিতার অভিযোগ, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বহরমপুরের হোটেলে তাঁকে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক। পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা ওই চিকিৎসক মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত। ধর্ষণের পাশাপশি খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৮ অক্টোবর কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীকে বহরমপুরে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত চিকিৎসক। হোটেলে খাওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে মাদক মিশ্রিত পানীয় খাইয়ে দেন। এরপর ওই মহিলা অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।
এরপর ফের ২ ডিসেম্বর ওই তরুণীকে বহরমপুরে ডেকে হুমকি দেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। মুখ না-খোলার জন্য চাপ দেওয়া হয়। যুবতী প্রতিবাদ করলে ওই চিকিৎসক তাকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। এরপরই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক সিনিয়র রেসিডেন্ট (আবাসিক) চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।
এদিকে অভিযোগ দায়ের হতেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। ওই ডাক্তারের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে। চিকিৎসকের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এদিকে ওই যুবতীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে বহরমপুরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সুপার অনাদি রায়চৌধুরী অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, মেডিক্যাল কলেজের বাইরে ঘটনাটি ঘটেছে। উনি আমাদের কলেজের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টর। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।