দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির দপ্তরের সামনে তুমুল ‘নাটক’। তাঁর ঘর নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগে রীতিমতো গান্ধীগিরি দেখালেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। খোলা আকাশের নীচেই চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে পড়লেন ভাঙ্গড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ খইরুল ইসলাম, গোটা ঘটনাটিকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
আরাবুলের অভিযোগ, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ খইরুল ইসলাম পঞ্চায়েত সমিতিতে তাঁর কাজের ঘর নিয়ে নিয়েছেন। একটানা ১২ বছর যে ঘরে বসে পঞ্চায়েত সমিতির কাজ চালিয়েছেন, সেখান থেকেই তাঁকে বার করে দেওয়া হয়েছে। সেই ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এই প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। সেই মামলার শুনানিও হবে। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চায়েত দপ্তরে যান আরাবুল। সকলকে অবাক করে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বাইরেই বসে পড়েন। সেখানেই নিজের কাজ করতে শুরু করেন। তাই নিয়ে শুরু হয়, তুমুল চাপানউতোর। এই বিষয়ে খইরুল ইসলামের কটাক্ষ, “ঘর কারও পৈত্রিক নয়। রেজলিউশন করে আমি এই ঘর পেয়েছি। উনি এতদিন তোলাবাজ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এখন জানলাম উনি বড় নাটকবাজ।”
দিনকয়েক আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন আরাবুল ইসলাম। তারপর থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়ের পারদ চড়ছে। আরাবুল ও শওকত ঘনিষ্ঠদের মধ্যে ঝামেলাও দেখা গিয়েছে। দিনকয়েক আগে আরাবুলের গাড়ি তল্লাশি হয় ভাঙড় বিডিও অফিসে ঢোকার সময়। ডিকি থেকে পাওয়া যায়, লাঠি, কোদালের বাট। তাই নিয়েও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।