• 'এক দেশ এক ভোট' কেন্দ্রের পদক্ষেপের পরেই ক্ষুব্ধ মমতা বললেন 'স্বৈরাচার'...
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বহুদিন ধরেই 'এক দেশ, এক ভোট'-এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে অনুমোদিত হল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ প্রস্তাব। বৃহস্পতিবারই এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা । তবে তার তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী তৃণমূল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “বিরোধীরা সঙ্গত উদ্বেগ জানালেও এক দেশ এক নির্বাচন (One Nation One Election) নিয়ে বুলডোজার চালাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এটা শুধু অসাংবিধানিক নয়, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এটি কোনও সুষ্ঠুভাবে বিবেচিত সংস্কার নয়; এটি একটি স্বৈরাচারী পদক্ষেপ, যা ভারতের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বাংলা কখনওই দিল্লির একনায়কতন্ত্রী সিদ্ধান্তের কাছে নত হবে না। এই সংগ্রাম ভারতের গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করার লড়াই!”

    বুধবার সংসদে অধিবেশন চলাকালীন কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান 'এক দেশ, এক ভোট'-এর পক্ষে সওয়াল করে বলেন, ''বার বার নির্বাচনের ফলে দেশের উন্নতির পথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে কোনও না কোনও সময় কোথাও না কোথাও নির্বাচন হয়েই চলেছে।'' শিবরাজ আরও বলেন, ''লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেলে বিধানসভা নির্বাচন আসে। হরিয়ানা, জম্মু এবং কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সামনেই দিল্লিতে নির্বাচন রয়েছে। বারো মাস ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি চলে কোনও কোনও রাজ্যে। এর ফলে দেশের বিকাশের পথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।''

    'এক দেশ, এক ভোট'-এর ফলে নির্বাচন করার বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। বারবার নির্বাচনের জন্য সরকারি কাজকর্ম, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে থমকে যায়। শুধুমাত্র খরচই নয়, ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের পরিশ্রমও কমবে। মনে করা হচ্ছে, একসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভার ভোট হলে ভোটের হার বাড়তে পারে বলেও দাবি।  

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)