• দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি
    এই সময় | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • দক্ষিণবঙ্গে জারি শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা। না, আর ‘সুপর্ণা’র কাছে মন খারাপ করে শীত পড়ার খবর জানতে হবে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে খোদ আলিপুর হাওয়া অফিসই জানিয়ে দিল খবরটা। মাসখানেক ধরে যার প্রতীক্ষা চলছিল দক্ষিণবঙ্গে, সেই শীত এসে পড়েছে এবং হাড় কাঁপানোর শক্তি নিয়ে।

    ফি বছর শীত এলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর সেই লাইন, ‘শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা?’। তবে এ মরসুমে সে উত্তর আর বঙ্গবাসীকে খুঁজে ফিরতে হবে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওয়া অফিস যে স্পেশ্যাল ব্যুলেটিন জারি করেছে, তাতে জানানো হয়েছে শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।

    পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। উত্তর–পশ্চিম ভারত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কাটিয়ে উঠতেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় এমন নাটকীয় পরিবর্তন।

    বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কনকনে হাওয়া আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পেলেই আমরা বলি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তর এত সহজ হিসাবকে শৈত্যপ্রবাহ বলে না। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ভারতের সমতলভূমিতে কোনও জায়গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যায় এবং একই সঙ্গে সেই তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ থেকে ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম থাকে, তবেই ‘শৈত্যপ্রবাহ’ ঘোষণা করা হয়।

    শুক্রবার থেকে রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে এমনটাই হতে চলেছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। প্রথমে দেশের উত্তর–পশ্চিমে তৈরি হওয়া একটি ঝঞ্ঝা এবং তারপর দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎই রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছিল দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় জেলায়।

    সিঙ্গল ডিজিটে নেমে আসা পুরুলিয়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে পৌঁছে গিয়েছিল ১২.১ ডিগ্রিতে। তারপরই প্রকৃতির ম্যাজিক। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে ৮.১ ডিগ্রিতে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলার তাপমাত্রাই ৩–৪ ডিগ্রি কমে যাবে। তারই পরিণতিতে শৈত্যপ্রবাহ চলবে পাঁচ জেলায়।
  • Link to this news (এই সময়)