রেলের কর্মচারী সমিতির নির্বাচনের নিয়ম হল, কোনও সংগঠন ৩৫ শতাংশের বেশি ভোট পেলে তবেই সেই ইউনিয়নকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ বারের ভোটে ইআরএমইউ এবং ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস— উভয় সংগঠনই সেই স্বীকৃতি পেয়েছে। আগামী দিনে এই দুই সংগঠনই কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করতে পারবে।
সাধারণত প্রতি ছ’বছর অন্তর কর্মচারী সমিতির ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই ভোট এত দিন থমকে ছিল। ১১ বছর পর গত সপ্তাহে পূর্ব রেলের কর্মচারী সমিতির নির্বাচন হয়। বাংলা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের বড় অংশের রেল ডিভিশন, ওয়ার্কশপ এবং হেড কোয়ার্টারে ভোট হয়েছে। ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের প্রধান কার্যালয়ে, কয়লাঘাটা এবং নিউ কয়লাঘাটার কার্যালয়ে ভোট দিয়েছেন রেলের কর্মীরা। পাশাপাশি কাচরাপাড়া, জামালপুর ও লিলুয়ার ওয়ার্কশপে এবং শিয়ালদহ, হাওড়া, মালদহ ও আসানসোল ডিভিশনেও ভোট হয়েছে। আসানসোল এবং মালদহ ডিভিশনের সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে জসিডি, বরাকর, জামালপুর, সাহেবগঞ্জ, ভাগলপুরের মতো বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের রেল এলাকা।
ইআরএমইউয়ের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষের বক্তব্য, তাঁদের সংগঠন কোনও রাজনৈতিক দলের সংগঠন নয়। বামপন্থীদের পাশাপাশি অন্য মতাদর্শের মানুষেরাও এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কথায়, ‘‘নানা ভাবে নির্বাচনকে আটকে রাখা হয়েছিল। ভোট হতেই প্রমাণ হয়ে গেল ইআরএমইউ-ই এখনও পূর্ব রেলে সবচেয়ে বড় শ্রমিক সংগঠন।’’
কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, মোট চারটি কর্মী সংগঠন এ বারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। মোট ৩৩০৩ জন কর্মী ভোট দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। তাতে জয়ী হয়েছে মেট্রো রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন।