• ফাইলেরিয়া আক্রান্তদের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দিতে উদ্যোগ রাজ্যের
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: ফাইলেরিয়া আক্রান্তদেরও এবার দেওয়া হবে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র। সেইসঙ্গে রোগ মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ফাইলেরিয়া রোগীদের নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লকে রোগীদের বিশেষ সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পেলে রোগীরা সরকারি নানা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। নদীয়া জেলায় মোট ৬৯ জনকে এই প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেওয়া হবে বলে‌ জানা গিয়েছে। পাশাপাশি হাইড্রোসিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের বিশেষ অপারেশনের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। নদীয়া জেলায় হাইড্রোসিল রোগে আক্রান্ত ৯৩ জনের অপারেশন করা হবে জেলা হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতালে। এই অপারেশনের সময়ে জেলার প্রত্যেকটি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালের একজন মেডিক্যাল অফিসারকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে আগামী দিনে তাঁরা রোগীর দ্রুত চিকিৎসা করতে পারেন। 


    নদীয়া জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ পরাশর পোদ্দার বলেন, ‘ফাইলেরিয়া রোগের মোকাবিলার জন্য রোগীদের বিশেষ সামগ্রীদেওয়া হচ্ছে। এই রোগের ফলে তাঁদের কাজ করতেও সমস্যা হয়। তাই তাঁদের প্রতিবন্ধী শংসাপত্রও দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে‌ তাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।’


    ফাইলেরিয়া বা গোদ কিউলেক্স মশার কামড়ে হয়ে থাকে। এর ফলে রোগীর পা ফুলে যায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোগীর পা হাতির মতো হয়ে যায়।  অঙ্গ বিকৃতির ফলে হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। চিকিৎসকদের দাবি, এই রোগের চিকিৎসা সেভাবে হয়না। যার ফলে এই রোগে কোনও ব্যক্তি আক্রান্ত হলে‌ তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে থাকে। তবে বিশেষ যত্ন নিলে তা আর বাড়ে না। যার জন্যই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রোগের মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ কিট প্রদান করা হচ্ছে। তার মধ্যে অ্যান্টি সেপটিক মলম, ব্যান্ডেজ সহ বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। 


    নদীয়া জেলায় এখনও পর্যন্ত রানাঘাট-১, হরিণঘাটা, শান্তিপুর ব্লকে ২৩ জন ফাইলেরিয়া আক্রান্ত রোগীকে এই কিট প্রদান করা হয়েছে। সবমিলিয়ে নদীয়া জেলার মোট ১৬৩ জনকে এই কিট দেওয়া হবে।তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেওয়া। যা রাজ্য সরকারের মানবিক দিক তুলে ধরছে বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। 


    স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, এই রোগের মোট চারটি পর্যায় রয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে থাকা রোগীদেরই এই শংসাপত্র দেওয়া হবে। নদীয়া জেলায় ১৬৩ জন ফাইলেরিয়া আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৬৯ জন তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে রয়েছেন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)