• জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ খতিয়ে দেখতে নামলেন আধিকারিকরা
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: বীরভূম জেলাজুড়ে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ খতিয়ে দেখতে ময়দানে নামল জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং জেলা সভাধিপতি। বৃহস্পতিবার সিউড়ির দু’টি ধান্য ক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সেখানে তাঁরা ধান বিক্রি করতে আসা চাষিদের সঙ্গেও কথা বলেন। উল্লেখ্য, জেলা দু’-একটি জায়গায় এই ধান কেনা নিয়ে বেশকিছু বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠছিল। বিভিন্ন জায়গায় ধানের ধলতা বেশি কেটে নেওয়া নিয়ে চাষিরা নানান অভিযোগ তুলছিলেন। সেই কারণেই ধান ক্রয়কেন্দ্রগুলিতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন করা শুরু করল প্রশাসন। এদিন সিউড়ি কিষান মান্ডি এবং আরও একটি সিএসপিতে ধান কেনার কাজ চলছিল। সেই সময় অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ মোদক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ সহ খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত হন। সেখানে চাষিরা আধিকারিকদের কাছে পেয়ে নানান দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলেন। আধিকারিকরাও চাষিদের আশ্বস্ত করে বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই ধান কেনা হবে। এদিন বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চাষিরা দাবি-দাওয়া জানালে সেটা কখনও বিশৃঙ্খলা ধরা যায় না। তাঁরা তাঁদের কথা বলবেন। কোনও অভিযোগ থাকলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। কিন্তু ধলতা বিষয় নিয়ে তাঁদের বোঝানো হয়েছে, যেখানে যতটা আর্দ্রতা থাকবে, তার ওপর পরীক্ষা করে ধলতা কাটা হবে। আর সরকারি নিয়মানুযায়ী ৩০ কুইন্টালের বেশি একজন চাষির কাছ থেকে ধান কেনা হবে না। এই সব সরকারি নিয়ম মেনেই ধান কেনা চলছে। 


    এদিন ধান্য ক্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনের পর সভাধিপতি বলেন, চাষিদের ধান বিক্রির জন্য যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টি আমরা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য ধান্য ক্রয়কেন্দ্রগুলিতে পরিদর্শনে এসেছি। এখনও জেলাতে সব কেন্দ্রেই স্বাভাবিক নিয়মে শান্তিপূর্ণভাবে ধান কেনা চলছে। 


    উল্লেখ্য, খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর জেলা খাদ্যদপ্তরের সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার টার্গেট রয়েছে চার লক্ষ আট হাজার মেট্রিক টন। তারমধ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় কুড়ি হাজার মেট্রিক টনের বেশি ধান কেনা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন ব্লকে মোট ৫৯টি ধান্য ক্রয়কেন্দ্র (সিপিসি)-র মাধ্যমে ধান কেনা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৪টি মোবাইল সিপিসি কেন্দ্র। 


    এদিন সিউড়ি কিষান মাণ্ডিতে ধান বিক্রি করতে আসা এক চাষি অনাদি দাস বলেন, ধান কেনার কাজ চলছে শান্তিপূর্ণভাবেই। সরকারি নিয়মানুযায়ী যাতে ধলতা কাটা হয়, সেই দাবি জানালাম আধিকারিকদের। কারণ বেশি ধলতা কাটলে আমাদের লোকসান হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)