• খবরের জের, গ্রামে গিয়ে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হলেন বিডিও
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: ‘বর্তমান’ পত্রিকার খবরের জেরে রায়পুর-সুপুর পঞ্চায়েতের আমড়াডাঙা গ্রাম পরিদর্শন করলেন বিডিও। বৃহস্পতিবার সকালে ‘আমড়াডাঙায় অনুন্নয়ন, বেহাল রাস্তা ও পানীয় জলের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ’ শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়। 


    এদিনই বোলপুর- শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও অন্য আধিকারিকরা ওই গ্রাম ঘুরে দেখেন। সেখানে উন্নয়নে ঘাটতির কথা সত্যজিৎবাবু স্বীকার করেছেন। তিনি পঞ্চায়েতকে পানীয় জল ও রাস্তা তৈরিতে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


    বোলপুর থেকে ভেদিয়া যাওয়ার রেলপথের নীচেই রয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত আমড়াডাঙা গ্রাম। এই এলাকা রায়পুর-সুপুর পঞ্চায়েতের রজতপুর ১৯ নম্বর সংসদের আওতায় পড়ে। 


    এই গ্রামে যাতায়াতের মাধ্যম মাত্র দু’টি রেলফুকো। যার একটি খুবই সংকীর্ণ। অন্যটি বড় হলেও সেটি ব্যবহার করলে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। তার উপর রাস্তাটিও কঙ্কালসার। 


    ওই রাস্তা দিয়েই আসন্নপ্রসবা ও রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। রাস্তায় খাল থাকায় গ্রামে অ্যাম্বুল্যান্সও ঢুকতে পারে না। স্থানীয়রা বহুদিন ধরে ওই খালে হিউমপাইপ বসানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।


    গ্রামে একটি গভীর নলকূপ থাকলেও সেটি অকেজো। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নলকূপই গ্রামের মানুষের ভরসা। আমড়াডাঙার ৯০টি পরিবারের প্রায় সবই দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। ‌বহুদিন ধরে মাটির বাড়িতে থাকলেও তাদের কপালে আবাস যোজনার বাড়ি জোটেনি।


    এদিন বিডিওর সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান খুশি বাউরি, ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার শ্যামাশিস সাহা, পঞ্চায়েতের কারিগরি সহায়ক বিশ্বজিৎ ঘোষ ও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগের এক আধিকারিক। 


    বিডিও বলেন, গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্প করে দেওয়া হবে। জল সংরক্ষণে ট্যাঙ্ক বসানো হবে। গ্রামে ঢোকার রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াতের জন্য পাইপ বসানো হবে। এসব কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছি।


    বিডিও জানান, ‌এখনও যাঁরা আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি, সমীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নাম নথিভূক্ত করা হবে। সেজন্য আমড়াডাঙার মানুষকে পঞ্চায়েত বা ব্লকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। 


    গ্রামে যে গভীর নলকূপ রয়েছে, সেটি সংস্কার করে সেখানে চাতাল ও নালা তৈরি করে দেবে পঞ্চায়েত। বড় রেলফুকো লাগোয়া ৭০০ মিটার রাস্তাটি পাকা করার বিষয়ে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরকে জানানো হয়েছে। তারা তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবে। এলাকার মানুষকে জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে।


    স্থানীয় বাসিন্দা কামিনী সোরেন, সুকুল হেমব্রম বলেন, আমাদের এলাকার অনুন্নয়নের কথা তুলে ধরার জন্য ‘বর্তমান’ পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানাই। প্রশাসন তাড়াতাড়ি তাঁদের সমস্যা মেটাবে-এমনই আশায় রয়েছেন তাঁরা।
  • Link to this news (বর্তমান)