• সাতটি ঘর ভাঙল দাঁতাল
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: বৃহস্পতিবার ভোরে মেটেলি ব্লকের কিলকোট চা বাগানে ঢুকে সাতটি শ্রমিক আবাস তছনছ করে দেয় একটি দাঁতাল হাতি। অন্যদিকে, নাগরাকাটার বামনডাঙা চা বাগানে অন্য একটি হাতি ঢুকে রেশন দোকানের গোডাউন ভেঙে দেয়। উল্লেখ্য, এই রেশন দোকানের গোডাউনটি এ নিয়ে ৬১ বার ভেঙে দিল হাতিতে। 


    এদিন ভোরে পার্শ্ববর্তী চাপরামারি জঙ্গল থেকে একটি হাতি চলে আসে কিলকোট চা বাগানের কোঠি লাইনে। হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে শ্রমিকরা পটকা ফাটিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু হাতিটি এতে আরও ক্ষেপে যায়। হাতিটি শ্রমিকদের দিকে তেড়ে আসে। এরপরই দাঁতালটি একে একে অনীতা মুখী, দেওকি ভুজেল, প্লেস্টিনা টিগ্গা, বিজয় গজমের, মমতা গজমের, জোহর ধবি এবং ভাগমণি ধোবির বাড়ি ভেঙে দেয়। ঘরে মজুত রাখা চাল, ডাল খেয়ে নেয়। সকাল ৬টা নাগাদ হাতিটি চাপরামারি জঙ্গলে ফিরে যায়। 


    অন্যদিকে, প্রায় একই সময় অন্য একটি দাঁতাল হাতি পার্শ্ববর্তী গোরুমারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বামনডাঙা চা বাগানের গুদাম লাইনে চলে আসে। হাতিটি স্থানীয় এক রেশন ডিলারের গোডাউনটির শাটার ভেঙে একেবারে ভিতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে মজুত ১০ বস্তা চাল তুলে নিয়ে বাইরে এসে খাওয়া শুরু করে। বিশালদেহী দাঁতাল হাতিটিকে দেখে ভয়ে কোনও শ্রমিক তাড়ানোর সাহস দেখাননি। এখানেও একপ্রকার বিনাবাধায় চাল খেয়ে, নষ্ট করে সকাল ৬টা নাগাদ ফের গোরুমারা জঙ্গলে ফিরে যায়। উল্লেখ্য, বুধবার ভোরেও রেশন গোডাউনের একাংশ ভেঙে দিয়েছিল দাঁতাল হাতিটি। 


    রেখুনিয়ার রেঞ্জার সজলকুমার দে বলেন, একরাতে একটি রেশন দোকানের গোডাউন ছাড়াও সাতটি শ্রমিক আবাস ভেঙেছে হাতি। ক্ষতিগ্রস্তরা যদি আবেদন করেন তাহলে সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)