• মুখ থুবড়ে পড়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযান, দিলীপ ঘোষকে মাঠে নামাল বিজেপি
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে। সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গতি নেই। তাই দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গতি আনতে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে পদ্মশিবির দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে মাঠে নামাল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তারপরেও জেলায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বেঁধে দেওয়া দুই লক্ষ সদস্য সংগ্রহের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় আদৌ পৌঁছনো যাবে কি না তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে জোর কানাঘুঁষো শুরু হয়েছে। 


    গত ২৭ অক্টোবর থেকে বিজেপির দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে জেলায়। নভেম্বর পর্যন্ত সদস্য সংগ্রহ অভিযান নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু  সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গতি না থাকায় প্রথমে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়। কিন্তু তাতেও সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি দল। বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দিলীপবাবু জেলায় আসার পাঁচ দিন আগে জেলায় দলের ৭০ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। তাই উপায় না দেখে জেলায় সদস্য সংগ্রহের সময়সীমা আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। 


    তাই দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গতি আনতেই বৃহস্পতিবার জেলাজুড়ে মাঠে নামানো হয় দিলীপবাবুকে। এদিন দিলীপবাবু প্রথমে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের কার্জিপাড়ায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশ নেন। এরপর আলিপুরদুয়ার জেলা সদরের বাটা মোড়ে চায়ে পে চর্চায় অংশ নেন। সেখান থেকে তিনি সদস্য সংগ্রহের জন্য চলে যান আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের শ্রীনাথপুর চা বাগানে। 


    শ্রীনাথপুর চা বাগান থেকে বিকেলে দিলীপবাবু ফালাকাটা শহরে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশ নেন। কিন্তু দিলীপবাবুকে মাঠে নামিয়ে জেলায় দলীয় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পদ্মশিবির পৌঁছতে পারবে কি না তা নিয়েই বিজেপির অন্দরে জল্পনা চলছে। কারণ মাদারিহাট উপ নির্বাচনে হারের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ফলে আগামী এক সপ্তাহে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে কতটা গতি আসবে তা নিয়েই দলের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে।


    যদিও এদিন সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলাকালীন দিলীপবাবু বলেন, আমাদের বড় দল। উপ নির্বাচনের কারণ আমাদের দলীয় সদস্য সংগ্রহ দেরিতে শুরু হয়েছে। মানুষ আমাদের পাশে আছে। সময়ই সেটা বলবে। বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের জেলা ইনচার্জ মিঠু দাস বলেন, পাঁচ দিন আগে জেলায় ৭০ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। আরও এক সপ্তাহ সময় আছে। আশা করছি সেই সময়ের মধ্যে আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারব।
  • Link to this news (বর্তমান)