• ময়নাগুড়ি হাসপাতাল: ইসিজি ও এক্স-রে কবে চালু হবে? জানে না কর্তৃপক্ষ
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে বন্ধ হয়ে রয়েছে ইসিজি পরিষেবা। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। এদিকে, সাধারণ মানুষের দাবি, ডিজিটাল এক্স-রেও পরিষেবা চালু করা হোক। কারণ হাসপাতালে বড় এক্স-রে মেশিনটি খারাপ হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সেকারণে বুকের বা কোমরের এক্স-রে হচ্ছে না। ইসিজি ও এক্স-রে করতে চাইলে টাকা দিয়ে বাইরের ল্যাব থেকে করাতে হচ্ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টেকনিশিয়ানের অভাবে ইসিজি পরিষেবা বন্ধ। বড় এক্স-রে মেশিন খারাপ। মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কবে পরিষেবা দু’টি চালু হবে তা জানান নেই তাদের। 


    পঞ্চাশের দশকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল তৈরি হয়। ভৌগোলিক কারণে এই হাসপাতালের উপর ময়নাগুড়ির বাসিন্দারা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ধূপগুড়ি, মালবাজার সহ কোচবিহার জেলার রানিরহাটের লোকজন নির্ভরশীল। প্রতিদিন গড়ে ৬০০-৭০০ রোগী আউটডোরে আসেন চিকিৎসা করাতে। এত গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে এই দু’টি অতিপ্রয়োজনীয় পরিষেবা না থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 


    ময়নাগুড়ির বাসিন্দা অপু রাউত বলেন, অনেক পুরনো ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল। এখনও এখানে অনেক আধুনিক পরিষেবা চালু হল না। ইসিজির মতো পরিষেবা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা নাগরিক চেতনার পক্ষ থেকে দ্রুত এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হব। সুভাষনগরের বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক আনন্দ দাম বলেন, এক্স-রে এবং ইসিজি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা। কিন্তু এই দু’টি পরিষেবাই অমিল। এটা প্রশাসনের দেখা উচিত। আনন্দনগরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বাপ্পা সাহা বলেন, কেন গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি চালু হচ্ছে না সেটা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত। 


    ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সীতেশ বর বলেন, বড় এক্স-রে মেশিনটি ২০১৬ সাল থেকেই খারাপ। ছোট এক্স-রে মেশিন দিয়ে আপাতত এক্স-রে করা হচ্ছে। তবে বুক বা কোমরের এক্স-রে করা যাচ্ছে না। সবটা স্বাস্থ্যদপ্তরের নজরে এনেছি। ইসিজি বন্ধ থাকার কারণ আমাদের কাছে টেকনিশিয়ান নেই। সবটাই সঠিক জায়গায় জানানো আছে। আশা করছি, দ্রুত পরিষেবাগুলি চালু হয়ে যাবে।।
  • Link to this news (বর্তমান)