দীঘায় জগন্নাথ মন্দির: রাজ্যের প্রশংসায় রামকৃষ্ণ মিশন, আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে উঠবে বলে মত
বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘা: দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাল রামকৃষ্ণ মিশন। তাদের মতে, এই মন্দির তৈরির কারণে আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি হবে। এতে রাজ্য সম্বন্ধে মানুষের কাছে ভালো বার্তাই যাবে।
দীঘা সফর সেরে বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারে কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দীঘা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দীঘা সারদা রামকৃষ্ণ সেবা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ স্বামী নিত্যবোধানন্দ। দীঘায় মিশনের একটি স্কুল গড়তে চান তাঁরা। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১৫ একর জমির কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। স্থানীয় জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝিকে ওই জমি চিহ্নিত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিধায়ক অখিল গিরি, কাঁথির পুর চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি এবং অন্য একাধিক তৃণমূল নেতা। সেখানে দেখা গিয়েছে পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিককেও।
দীঘায় হেলিকপ্টারে ওঠার আগে, জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে এটা শুধু বাংলার নয়, সারা বিশ্বের ‘আইকন’ হিসেবে হাজার হাজার বছর থাকবে। ফলে এই মন্দিরকে যত্নসহকারে সুন্দর করে রাখতে হবে। তারপর অনেকসময় ধরে স্বামী নিত্যবোধানন্দকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বামী নিত্যবোধানন্দ জানান, জগন্নাথদেবের মন্দির দীঘায় তৈরি হওয়ায় এখানে যদি একটা আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে ওঠে তাহলে পর্যটকদের কাছে ভালো বার্তাই যাবে। পর্যটকরা শুধু বিনোদনের জন্য আসেন না, কিছুটা আধ্যাত্মিক পরিবেশেও কাটাতে চান তাঁরা। এই জগন্নাথ মন্দির নিয়ে তৃণমূলের উদ্দেশে বিরোধীদের কটাক্ষের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়।
স্বামী নিত্যবোধানন্দ বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে আমরা চাইব, এখানে আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে উঠুক।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দীঘায় মন্দির গড়েছে রাজ্য সরকার। উদ্বোধন আগামী ৩০ এপ্রিল। ফলে আগামী দিনে সমুদ্রে স্নান করার পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দিরের টানেও অসংখ্য মানুষ দীঘায় আসবেন
বলেই মনে করছেন এখনকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোটেল মালিকসহ অনেকেই।