• ঢুকছে ভিন রাজ্যের ট্রাক, আলুর দাম কমার আশায় মধ্যবিত্ত
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ-পাঞ্জাব থেকে প্রচুর পরিমাণে নতুন আলু রাজ্যে আসা শুরু করতেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছে মধ্যবিত্ত। কারণ, এতদিনের আগুনে আঁচ স্তিমিত হয়ে খুচরো বাজারে কমছে আলুর দাম। রাজ্য সরকারও আশাবাদী, আগামী দিনে এর আরও বেশি ইতিবাচক প্রভাব মিলবে। কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতির উপর রাজ্য নজর রাখছে। দাম কিছুটা কমেছে। তবে খুচরো বাজারে ৩০ টাকায় হিমঘরের আলু বিক্রির মতো পরিস্থিতি চাই। ব্যবসায়ীরা সেটা নিশ্চিত করলে ভিন রাজ্যে রপ্তানির তাঁদের দাবি আমরা বিবেচনা করব।’ অর্থাৎ, সাধারণ মানুষকে আগে স্বস্তি দিতে হবে। তারপরই আলু রপ্তানিতে আরোপ হওয়া বিধি-নিষেধ তোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন। 


    বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখার পর রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স বৃহস্পতিবার নবান্নে রিপোর্ট দিয়েছে, আলুর দাম আগের থেকে খানিকটা কম। কয়েক দিনের মধ্যে বাইরের আলু বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে এসে যাবে। তখন দাম আরও কমবে। রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এখনও প্রায় ৪ লক্ষ ২৬ হাজার টন আলু মজুত রয়েছে। এবার তার চাহিদাও কমবে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতার খুচরো বাজারে কেজি প্রতি আলুর নতুন দাম ২৫ টাকার আশপাশে নেমে আসবে বলে তাঁরা আশাবাদী। পুরনো জ্যোতি আলুর দামও ২৭-২৮ টাকায় নামবে। এদিন কলকাতার বিভিন্ন খুচরো বাজার ঘুরে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা দেখেছেন, হিমঘর থেকে বের হওয়া ‌঩জ্যোতি আলু ৩২ টাকা কেজির আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে পাঞ্জাব থেকে আসা নতুন আলুর দাম খুচরো বাজারে ২৮-২৯ টাকা। তবে কোনও কোনও বাজারে জ্যোতি আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে টাস্ক ফোর্সের কাছে। বেশি লাভের জন্য কোনও কোনও বিক্রেতা নতুন ও পুরনো আলু একই দামে বিক্রি করছেন। টাস্ক ফোর্সের বক্তব্য, এটা হওয়া উচিত নয়। এদিন কলকাতার পাইকারি বাজারে বাইরে থেকে আসা নতুন আলুর দাম ২৫ টাকার আশপাশে ছিল। সরবরাহ আরও বাড়লে দাম কমাতে বাধ্য হবেন বিক্রেতারা। বুধবার পর্যন্ত মূলত পাঞ্জাবের নতুন আলু বেশি পরিমাণে কলকাতার বাজারে এসেছে। বৃহস্পতিবার থেকে ঢুকছে উত্তরপ্রদেশের আলুবোঝাই লরি। কৃষি বিপণনমন্ত্রী জানান, সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ দিকে রাজ্যের নতুন আলু বাজারে এসে যায়। এবার ঘূর্ণিঝড়ের জন্য দক্ষিণবঙ্গে পোখরাজ আলু চাষে দেরি হওয়ায় বাজারে আসতে জানুয়ারি হয়ে যাবে। উত্তরবঙ্গে মূলত বিক্রি হবে ওই অঞ্চলের নতুন আলু। টাস্ক ফোর্স মনে করছে, রাজ্যের আলু কিছুটা দেরিতে এলেও সমস্যা নেই। চাহিদা মেটাবে ভিন রাজ্যের আলু। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির নেতা লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘হিমঘরের আলুর দাম কমছে। সেখানে থাকা প্রচুর পরিমাণ আলুর কী হবে, সে ব্যাপারে আমরা চিন্তিত।’ রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)